ছোটপর্দার জনপ্রিয় সিরিয়াল খেলনা বাড়ি। দর্শকেরা ঘড়ির কাঁটা ধরে ঠিক টিভির সামনে বসে যেতেন তাঁদের প্রিয় মিতুলকে দেখতে। টিআরপি তালিকাতেও খেলনা বাড়ি নিজের জায়গা পাকা করে নিয়েছিল। তবে সব সিরিয়ালই কোনও না কোনও সময় এসে শেষ হতে হয়। ব্যতিক্রম নয় এই সিরিয়ালও। দর্শকদের খারাপ লাগার পাশাপাশি এই সিরিয়ালের সঙ্গে যাঁরা ওতপ্রোতভাবে যুক্ত রয়েছেন, তাঁদের কাছেও মন ভার করার মত অবস্থা। কারণ দিনের অধিকাংশ ঘণ্টাই কলাকুশলীদের কাটে শ্যুটিং ফ্লোরে। আর খেলনা বাড়ি-তে মিতুলের চরিত্রে প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী আরাত্রিকা মাইতি। তাই স্বাভাবিকভাবেই এই সিরিয়াল শেষ হওয়ার সময় চোখের জল যে বাঁধ মানবে না জানা কথা।
খেলনা বাড়ি সিরিয়াল শেষ হওয়ার পর রীতিমতো মন খারাপ মিতুল ওরফে আরাত্রিকার। শেষ দিনের শুটিংয়ে কেঁদে ভাসালেন আরাত্রিকা। সোশ্যাল মিডিয়া পেজে সেই ভিডিও এখন রীতিমতো ভাইরাল। এই ভিডিওতে মিতুলকে বিয়ের সাজে দেখা গিয়েছে। সেই অবস্থাতেই কেঁদে ভাসাচ্ছেন তিনি। শ্যুটিং দলেরই কারোর কাঁধে মাথা দিয়ে কাঁদছেন আরাত্রিকা। আসলে খেলনা বাড়ি শেষ হওয়ার পর রীতিমতো আবেগপ্রবণ অভিনেত্রী। আর শুধু তিনি কেন, এই সিরিয়ালের সঙ্গে যুক্ত সকলের চোখেই জল দেখা গিয়েছে।
আরাত্রিকা তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পেজে পুরো খেলনা বাড়ি টিমের সঙ্গে ছবি পোস্ট করে আবেগঘন এক দীর্ঘ পোস্ট লিখেছেন। যেখানে অভিনেত্রী জানিয়েছেন যে তিনি যদি এই খেলনা বাড়ি নিয়ে লিখতে বসেন তাহলে শেষ হবে না। আরাত্রিকা এও জানান যে তিনি যে কবে মিতুল পাল হয়ে গেলেন তা বুঝতেই পারেননি। আরাত্রিকার কথায়, হাসি, কান্না, আনন্দ, রাগ, অভিমানে বুঝতেই পারলাম না, কখন যে দেড় বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেল , তোমাদের সঙ্গে ‘মিতুল পাল’ হয়ে । সৌভিকদা তার সমস্ত সুষমা দিয়ে এই ‘মিতুল’কে নির্মাণ করেছে । আর সৌমিদি, সৃজিতদা, সৃজিতাদি, কৃশাণুদা এবং ডিরেক্টর স্নেহাদা ও ডিওপি বিশ্বজিৎদার সাহচর্যে ‘মিতুলের’ প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়েছে। তোমাদের ধন্যবাদ জানিয়ে আমি ছোট করব না। তবে আমি কৃতজ্ঞ, আপ্লুত।
ইতিমধ্যেই শেষদিনের শুটিং সেরে ফেলেছেন সিরিয়ালের কলাকুশলীর। দাসানি স্টুডিওতে খেলনা বাড়ির সেটে এখন শুধুই শূন্যতা। নেই মিতুল, ইন্দ্র, গুগলি কেউই। খেলনা বাড়ি ধারাবাহিকে বিশ্বজিৎ আর আরাত্রিকার অন স্ক্রিন রোম্যান্স একেবারে জমে উঠেছিল। কিন্তু প্রথম কয়েকমাস টিআরপি তালিকায় ভালো ফল করলেও শেষের কয়েকমাস একদম টিআরপি তলানিতে হয়ে ঠেকেছিল। আর তারপরেই ধারাবাহিকটির বারবার স্লট বদল করা হয়। অবশেষে শেষের মুখে এই খেলনা বাড়ি। শেষ দিনে সব সদস্যই আবেগে ভাসলেন। আনন্দের মাঝেও তাই রয়ে গেল মনখারাপের রেশ।