scorecardresearch
 

Rituparna Sengupta: অফার পেয়েও 'চোখের বালি' করেননি ঋতুপর্ণা, নেপথ্যে প্রসেনজিতের সঙ্গে মনোমালিন্য?

Rituparna Sengupta: ঋতুপর্ণ ঘোষের মতো পরিচালকের ছবিতে অভিনয় করার সৌভাগ্য সকলের হয় না। যারা সেই সুযোগ পেয়েছেন তারা কার্যত তাদের অভিনয় জীবনের কেরিয়ারে মাইলস্টোন ছুঁয়েছেন। জীবনে প্রথম বাংলা ছবিতে অভিনয় করার সুযোগ ঐশ্বর্য রাই পেয়েছিলেন এই পরিচালকের হাত ধরেই। কিন্তু এই সুযোগ কিন্তু সবার আগে ঋতুপর্ণ ঘোষ দিয়েছিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে।

Advertisement
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত চোখের বালি-র অফার ফেরান ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত চোখের বালি-র অফার ফেরান
হাইলাইটস
  • বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের অভিনয় নিয়ে নতুনভাবে বলার কিছুই নেই।
  • তিনি যে একজন অসাধারণ দক্ষ অভিনেত্রী সেটা সকলেই জানেন। শুধু টলিউডেই নয়, বলিউডেও পা জমিয়ে ফেলেছেন তিনি।
  • ঋতুপর্ণাই ঐশ্বর্যকে সুযোগ করে দিয়েছিলেন ঋতুপর্ণ ঘোষের ‘চোখের বালি’ ছবিতে অভিনয় করার

বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের অভিনয় নিয়ে নতুনভাবে বলার কিছুই নেই। তিনি যে একজন অসাধারণ দক্ষ অভিনেত্রী সেটা সকলেই জানেন। শুধু টলিউডেই নয়, বলিউডেও পা জমিয়ে ফেলেছেন তিনি। তাঁর অভিনীত শেষ ছবি মায়াকুমারী-তে তাঁর অভিনয় দারুণভাবে প্রশংসিত। আর এই ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত খ্যাতনামা পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষের সিনেমা ‘চোখের বালি’-এর প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। 

ঋতুপর্ণ ঘোষের মতো পরিচালকের ছবিতে অভিনয় করার সৌভাগ্য সকলের হয় না। যারা সেই সুযোগ পেয়েছেন তারা কার্যত তাদের অভিনয় জীবনের কেরিয়ারে মাইলস্টোন ছুঁয়েছেন। জীবনে প্রথম বাংলা ছবিতে অভিনয় করার সুযোগ ঐশ্বর্য রাই পেয়েছিলেন এই পরিচালকের হাত ধরেই। কিন্তু এই সুযোগ কিন্তু সবার আগে ঋতুপর্ণ ঘোষ দিয়েছিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে। 

আরও পড়ুন: Rituparna Sengupta: বয়স নাকি ৫১! নিটোল শরীরী আবেদনে ভক্তদের ঘুম ওড়ালেন ঋতুপর্ণা

ঋতুপর্ণাই ঐশ্বর্যকে সুযোগ করে দিয়েছিলেন ঋতুপর্ণ ঘোষের ‘চোখের বালি’ ছবিতে অভিনয় করার। ঋতুপর্ণ ঘোষের ছবির অফার ফিরিয়েছিলেন ঋতুপর্ণা। ঐশ্বর্য সেই অফার লুফে নিয়েই বাজিমাত করেছেন। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, টোটা রায়চৌধুরীদের সঙ্গে ঐশ্বর্য এই সিনেমায় বিনোদিনীর চরিত্রে অভিনয় করে সকলের মন জয় করে নিয়েছিলেন। এই চরিত্রে ঐশ্বর্য রাই দারুণ অভিনয় করেছিলেন। ছবিটি একটি আইকনিক ছবিতে পরিণত হয় পরবর্তীকালে। এই ছবিতে ঐশ্বর্য্যের অভিনয় বেশ প্রশংসিত হয়। তবে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে পারে যে ঋতুপর্ণ ঘোষের এমন একটি ছবির প্রস্তাব কেন ফেরালেন ঋতুপর্ণা। 

আরও পড়ুন: Rituparna Sengupta: ঋতুপর্ণার প্রেমে পাগল দীপক, 'ইত্তর'-এর খুশবু মাখা উদ্দাম রোম্যান্স

বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে একটা সময় তো প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার জুটিই টলিউডের প্রাণ ছিল। তাহলে হঠাৎ এমন কি হলো যে ঋতুপর্ণার ছবির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেন? ঋতুপর্ণা এই প্রশ্নের উত্তর নিজেই দিয়েছেন। আসলে একসময় প্রসেনজিৎ-এর সঙ্গে জুটি বেঁধে একের পর এক সুপার হিট ছবি উপহার দিলেও পরবর্তীকালে তাঁদের সম্পর্কে চিড় ধরে। দুই সহ-অভিনেতার মধ্যে যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল তা বেশ জটিল হয়ে পড়েছিল সেই সময়। ঠিক সেই কারণেই প্রায় দুই দশক তারা একে অপরের সঙ্গে কোনও ছবি করেননি। পরে অবশ্য ‘প্রাক্তন’ ছবিতে ঋতুপর্ণা এবং প্রসেনজিতের জুটি আবার ধরা পড়ে।

Advertisement

কিন্তু যে সময় ঋতুপর্ণ ঘোষ এই চোখের বালি সিনেমাটি তৈরি করেছিলেন তখন প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার মধ্যেকার দুরত্ব শেষ হয়নি। তাই শেষমেষ ছবির অফার যায় ঐশ্বর্য্যের কাছে। ঋতুপর্ণার মনের দ্বিধাদ্বন্দ্বতে ঐশ্বর্যের শাপে বর হয়েছিল। তাঁর ঝুলিতে বলিউডের একের পর এক সুপারহিট ছবি তো রয়েছে। টলিউডের এই সিনেমাও তাঁর ঝুলি পরিপূর্ণ করেছে।

   

Advertisement