বসন্তের আগেই টলিউডে ফুটে গিয়েছে ফুল। টলি পাড়া জুড়ে এখন সোহিনী ও শোভনের প্রেমের মরশুম চলছে। কখনও শহরের বাইরে তাঁরা ধরা দিচ্ছেন একে-অপরের সঙ্গে আবার কখনও বা পুজোয় রাত জেগে ঠাকুর দেখছেন। এই বছরেই ব্রেকআপ হয়েছে সোহিনী ও রণজয় বিষ্ণুর, অপরদিকে সম্পর্ক ভেঙেছে শোভন ও স্বস্তিকারও। আর এরই মাঝে সোহিনী ও শোভন নিজেদের প্রাক্তনকে ভুলে একে-অপরের ভালোবাসায় মগ্ন হলেন। কালীপুজো তথা দীপাবলীর দিনও সোহিনী-শোভন ছিলেন একসঙ্গে। আর শোভনের প্রাক্তন স্বস্তিকা তাঁর দীপাবলী কাটালেন এই প্রিয় মানুষটার সঙ্গে।
গত বেশ কিছু বছর ধরে শোভনের সঙ্গেই প্রতিটা পুজো কাটিয়ে এসেছেন স্বস্তিকা। তবে চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকেই শোনা যাচ্ছিল যে শোভন-স্বস্তিকার সম্পর্কে নাকি চিড় ধরতে শুরু করেছে। সেই সময় শোভনের প্রাক্তন ইমনের নাম শোনা গিয়েছিল তাঁদের সম্পর্কে চিড় ধরার জন্য। এরপর স্বস্তিকার জন্মদিনের আগেই শোভনের সঙ্গে তাঁর পাকাপাকিভাবে ব্রেকআপ হয়ে যায়। সেই সময় স্বস্তিকা জানিয়েছিলেন যে তাঁর ও শোভনের যৌথ সিদ্ধান্তেই এই ব্রেকআপ। তারপর থেকে সিঙ্গল রয়েছেন অভিনেত্রী।
তবে ইতিমধ্যেই সিঙ্গল থেকে মিঙ্গল হয়ে গিয়েছেন শোভন। তাও আবার টলিউডের লিডিং হিরোইন সোহিনীর সঙ্গে। দীপাবলীতেও সোহিনী-শোভন একসঙ্গেই ছিলেন, তা সোহিনী নিজেই জানিয়েছেন তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে। একদিকে যখন সোহিনীর সঙ্গে দীপাবলির সন্ধ্যা উপভোগ করছিলেন শোভন, তখন কী করছিলেন তাঁর প্রাক্তন স্বস্তিকা? অভিনেত্রীর সোশ্যাল মিডিয়া পেজে দেখা গিয়েছে দীপাবলির দিন তিনি পরিবারের সঙ্গেই সময় কাটিয়েছেন। একেবারে সাদামাটা লুকসে ধরা দিয়েছেন স্বস্তিকা। পরেছিলেন নীল রঙের চিকনকারি কুর্তি, একেবারেই নো মেকআপ লুকস। বাড়ির দরজার সামনে সুন্দর করে ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে, প্রদীপ জ্বালাচ্ছেন স্বস্তিকা। মায়ের সঙ্গেও ছবি তুলেছেন তিনি। আর এই সুন্দর ডেকোরেশনের ক্রেডিট তিনি তাঁর মাকেই দিয়েছেন।
বাড়িতেই হয়েছে ঘরোয়াভাবে দীপাবলির পুজো। পুজোর পর মিরর সেলফিও নিয়েছেন স্বস্তিকা। প্রসঙ্গত, গায়ক শোভন গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর প্রেম ছিল টক অফ দ্য টাউন। ইমন চক্রবর্তীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার পরই শোভন স্বস্তিকার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। সেই থেকেই একসঙ্গে থাকা-ঘোরা। তবে চলতি বছরেই শোভন-স্বস্তিকার ব্রেকআপ নিয়ে টলি পাড়ায় কম আলোচনা হয়নি। যদিও কী কারণে এই ব্রেকআপ তা জানা যায়নি।
এখানে উল্লেখ্য, যিশু সেনগুপ্তের ২২ শ্রাবণের এক অনুষ্ঠানে কাছাকাছি আসেন শোভন ও সোহিনী। তারপর থেকেই তাঁদের ঘনিষ্ঠতা বাড়তে শুরু করে। সোহিনীর জন্মদিনেও দেখা গিয়েছিল শোভনের উপস্থিতি। পুজোর পরে সোহিনীর সঙ্গে ছবি ভাগ করে নিয়েছিলেন শোভন। তার আগে তাঁর জীবনে কারও ছায়া পড়েছে, সেও জানিয়েছিলেন রূপক ছবির সাহায্যে। পরে যদিও সোহিনীর সঙ্গে তোলা ছবি মুছে দেন। তবে দীপাবলির এই ছবি মোছেননি শোভন। দুজনেই লাল রঙের পোশাকে সেজেছিলেন। তাঁদের নতুন প্রেমের আবেশে মধুময়। তার স্পষ্ট ছাপ যুগলের মুখচোখে।