বাংলার বেশিরভাগ মানুষের ক্রাশ সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়। দাদার কথায় মুগ্ধ আট থেকে আশি সকলে। আর দাদাগিরির সেটে তিনি যখন থাকেন, তখন টিভির পর্দা থেকে চোখ সরানো যায় না। দাদাগিরি-এর মঞ্চে সৌরভের সঙ্গে কথা বলার জন্য অপেক্ষা করে থাকেন সেলেব থেকে সাধারণ মানুষ। আর সেই দাদাগিরি-এর মঞ্চে সৌরভ অকপটে জনালেন তিনি কার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট মাঝে মাঝেই স্টক করেন।
বাংলার কিছু সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার, কিছু সাধারণ মানুষ, যাঁরা নিজেদের কীর্তি দিয়ে অসাধারণ হয়েছেন, তাঁরা এসেছিলেন দাদাগিরিতে। সেই তালিকায় নাম ছিল জয়িতা নামে এক ইনফ্লুয়েন্সারেরও। যে নিজের ভিডিয়োর মাধ্যমে, লোককে শেখায় কীভাবে ফোটো তুললে বেশি আকর্ষণীয় দেখাবে। সেই জয়িতাই সৌরভকে প্রশ্ন করে বসেন, ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে কার অ্যকাউন্ট মাঝে মাঝেই চেক করা হয় বা ভিজিট কর। এই প্রশ্নের উত্তরে সৌরভ একটুও না ভেবে বলেন, দুটো। একটা সানা গঙ্গোপাধ্যায় র একটা কিয়ারা আদবাণী। আর দাদার এই উত্তর শুনেই বোঝা গেল যে তিনি কিয়ারাকে বেশ পছন্দই করেন।
এরপর এই পর্বে জয়িতা দাদাকে আরও বলেন, তুমি তো সবারই ক্রাশ। ফ্যানদের থেকে বিশেষ করে কোন প্রশংসাটা পেলে দাদার মনে লাড্ডু ফোটে? সৌরভ এই প্রশ্নের জবাবে বলেন, এই যে তুমি বললে দাদাকে রাজপুত্রের মতো লাগে। পাশে থাকা অন্য প্রতিযোগীরাও এই ব্যাপারে সহমত পোষণ করেন। বলেন, ‘এমনি এমনি কী তোমায় বলে বাংলার রাজপুত্র, প্রিন্স অফ কলকাতা’! দাদাগিরি-এর মঞ্চেই সৌরভ প্রতিযোগীদের এই ধরনের ছোট ছোট প্রশ্নের উত্তর খুব স্বতঃস্ফূর্তভাবেই দেন। মুখে কোনও বিরক্তি ভাব থাকে না। আর দাদাকে সামনে পেয়ে সকলেই দারুণভাবে আপ্লুত হয়ে পড়েন।
২০০৯ সালের অক্টোবর মাসে প্রথম শুরু হয় দাদাগিরি-এর প্রথম সিজন। বর্তমানে ১০ নম্বর সিজন সম্প্রচার হচ্ছে। এই সিজনেও সঞ্চালকের দায়িত্বে রয়েছেন সৌরভ। আর এখন তো সৌরভকে ছাড়া ভাবাও যায় না দাদাগিরি। খুব জলদি, বড় পর্দাতেও আসার কথা রয়েছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বায়োপিক। যাতে মুখ্য চরিত্রে থাকতে পারেন আয়ুষ্মান খুরানা।