বিগত ১০ বছর ধরে বিয়েটা করতে চাইছিলেন। কিন্তু হচ্ছে হচ্ছে করেও কিছুতেই হয়ে উঠছিল না। তবে এই বছর একেবারে ধনুক ভাঙা পণ নিয়ে ফেলেছেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। ২০২৪-এই কিছু একটা ঘটিয়ে ফেলতে চান তিনি। তবে লোকসভা নির্বাচন পর্ব মেটার পরই বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন রুদ্রনীল, এই কথা স্পষ্ট করলেন। কেমন পাত্রী চান আর বিয়েটাই বা কবে করছেন সেইসব নিয়ে অকপটভাবেই bangla.aajtak.in-কে জানালেন অভিনেতা।
২০২৪-এর লোকসভা ভোটের পর বিয়ে করছেন রুদ্রনীল এ প্রসঙ্গে অভিনেতা বলেন, 'আমি তো বিয়ে করতেই চাই। লোকসভা ভোট কেন আমার প্রত্যেক সময়ে মনে হয় যে বিয়ে করে ফেলা উচিত। এটা আমার দশ বছর ধরেই মনে হচ্ছে। খুব প্রবলভাবে মনে হচ্ছে। লোকসভা ভোটের পর বিয়েটা করে নিলে ভালোই হয়।' কিন্তু এই বিয়ের জন্য ১০ বছর ধরে অপেক্ষা কেন? এ বিষয়ে রুদ্রনীল জানান, আসলে উভয়পক্ষের বোঝাপড়া, পছন্দ-অপছন্দ এবং অভিনেতা নারী-পুরুষের সমান সমান অধিকার, মর্যাদা এইসবের ওপর খুব বিশ্বাসী, তাই তাঁর মনে হয় যে কেউ না কেউ অভিনেতার জন্য কোথাও না কোথাও অপেক্ষা করছে বিয়ের অর্ধেক খরচ নিয়ে। সেরকম কাউকে পেলেই রুদ্র বিয়ে করে নেবেন। তবে অভিনেতার কথায় এই আক্ষেপও স্পষ্ট ছিল যে পরমব্রত সহ তাঁর সব বন্ধুদের বিয়ে হয়ে গিয়েছে।
তবে রুদ্রনীল এও জানান যে তিনি যদি এই বছর বিয়ে করেন তবে সেটা লোকসভা ভোটের আগে হচ্ছে না। কারণ নির্বাচনেরর জন্য অভিনেতার সেই সময় ব্যস্ততা থাকবে তুঙ্গে। পাত্রী খোঁজা কি শুরু হয়ে গিয়েছে? এ বিষয়ে রুদ্রনীল বলেন, 'আমি বেশ কয়েক বছর ধরে কোনও সম্পর্কে নেই। আমার বন্ধু আছে অনেক, তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করছি। তবে পাত্রী খুঁজে রাখা আছে এই বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানের জন্য এমনটা নয়, তবে বিয়ে করাতে কোনও আপত্তি নেই, বিষয়টা বেশ মজার। একে-অপরকে সম্মান করতে পারব, যে আমার খারাপ দিকটা আমার কাছে তুলে ধরতে পারবে এমন জীবনসঙ্গীর খোঁজেই রয়েছি। আসলে বিয়েটা না আমার কোথাও যেন মনে হয়েছে সম্মানজনক বন্ধুত্ব। যেখানে না বলা অনেক কিছু দায়িত্ব, সম্মান আমাদের আজীবন ঘিরে রাখে।'
পাত্রী কি টলিউড ইন্ডাস্ট্রির থেকে খোঁজা হচ্ছে? এ বিষয়ে রুদ্রনীল বলেন, 'আমার বন্ধুবান্ধব বহু ক্ষেত্রেই রয়েছেন এবং তাঁরা বিভিন্ন পেশায় রয়েছেন। আমি অপরিচিত কোনও মানুষকে দুম করে বিয়ে করে ফেলতে পারব না। আমারও মনে হয় যিনি আমাকে বিয়ে করবেন তাঁরও আমাকে আড়াল-আবডালে থেকে আমাকে চিনে নেওয়া উচিত। মানুষ মাত্রই ভুল করবে, তবে আমার পার্টনার যে হবে তাঁকে একটু বাস্তব জ্ঞানসম্পন্ন হবেন, অন্যের প্রতি যেন সহানুভূতি সম্পন্ন হন এবং তিনি সামান্য কিছুও যেন রোজগার করেন। আমার যিনি পার্টনার হবেন তিনি যেন তাঁর পছন্দ-অপছন্দ, অভিরুচি অনুযায়ী আমাকে চিনে-জেনে নেন। আমি যাঁকে বিয়ে করব তিনি যেন প্রকৃত আমিকে চিনুক। বাহ্যিক গুণগুলোকে নয়, ঘরোয়া আড্ডায়, ঘরোয়া পরিবেশে চেনা-জানার পরই বিয়েটা করা উচিত।' অভিনেতার মতে বিয়ে করার জন্য কিছু যোগ্যতা অর্জন করতে হয় মানুষ হিসাবে আর তার সঙ্গে অপেক্ষা থাকে সময়ের কারণ সময়ই এই বিষয়টা ঘটায়। এটা প্ল্যান করে করা যায় না।
রুদ্রনীলের হবু বউয়ের মধ্যে এই গুণটাও থাকা জরুরি তা হল যিনি অভিনেতার মতোই রাজনৈতিক ও সামাজিক স্তরে মানুষের জন্য কাজ করতে ভালোবাসবেন। কারণ রুদ্রনীল প্রত্যেকদিন সকালে বহু মানুষের সমস্যা শোনেন এবং তা সমাধানের চেষ্টা করেন। তাহলে কি ২০২৪-এর শীতেই রুদ্রনীল বিয়েটা সারছেন? এই প্রশ্নের জবাবে কিছুটা ধোঁয়াশা রেখেই বলেন, 'আমার কেমন একটা মনে হচ্ছে। সকলেরই এক প্রশ্ন কবে বিয়ে করছি আমি। এমনকী বাচ্চারাও প্রশ্ন করছে রুদ্র আঙ্কেল কবে বিয়ে করছে। তাই কাকু থেকে দাদুভাই হওয়ার আগেই বিয়েটা ঘটিয়ে ফেলতে হবে। তবে আমার হবু বউ কে সেটা আমি জানি না, ইশ্বর জানে।'