টলিউডে শীর্ষ অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম হলেন মিমি চক্রবর্তী। তিনি তাঁর অভিনয়ের জোরে ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের পা শক্ত করেছেন। শুধু অভিনয়ই নয়, মিমি দারুণভাবে ফ্যাশন সচেতনও বটে। নিজেকে কীভাবে প্রেজেন্ট করতে হয়, সেই কৌশল তাঁর ভালই জানা রয়েছে। সব পোশাকে মিমি সাবলীল হলেও, পছন্দের পোশার শাড়ি। আর সুযোগ পেলেই মিমি শাড়ি পরেন। সেটা পুজো হোক অথবা কোনও পার্টি। কিন্তু জানেন কী এই মিমিকে শাড়ি পরা কে শিখিয়েছেন?
মিমির সোশ্যাল মিডিয়া পেজে ঢুঁ মারলেই অভিনেত্রীর শাড়ি পরা একাধিক ছবি দেখতে পারবেন। শাড়ি পরায় এখন বেশ নিপুণ মিমি। যদিও এখন ডিজাইনাররা অথবা মেকআপ আর্টিস্টরা তাঁকে শাড়ি পরিয়ে দেন। তবে নিজেও খুব ভাল শাড়ি পরতে পারেন মিমি। সাধারণত, মেয়েদের জীবনে শাড়ি পরার অভিজ্ঞতা শুরু হয় স্কুলজীবন থেকে। আর সেখানে মায়েরাই শাড়ি পরিয়ে দেন। কিন্তু মিমির ক্ষেত্রে বিষয়টা আলাদা। মা শাড়ি পরিয়ে দিলেও শাড়ি পরা শিখেছেন অভিনেত্রী অন্য একজনের কাছ থেকে।
এক পুরনো সাক্ষাৎকারে মিমি জানিয়েছেন যে তিনি জলপাইগুড়ি থেকে এই কলকাতা শহরে এসেছিলেন। তখন তিনি হস্টেলে থাকতেন। কনভেন্ট স্কুলে পড়ার জন্য কখনও শাড়ি পরার সুযোগ হয়নি। মিমি জীবনে একবারই শাড়ি পড়েন স্কুলের এক প্রতিযোগিতায়। সেই সময় মা তাঁকে শাড়ি পরিয়ে দিয়েছিল। তবে যখন গানের ওপারে ধারাবাহিকের মুখ্যভূমিকায় সুযোগ পেলেন মিমি তখন এই সিরিয়ালের পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষ বলেছিলেন যে সিরিয়ালে মিমির চরিত্র পুপেকে সবসময়ই শাড়ি পরতে হবে। কিন্তু মিমি তো শাড়ি পরতে পারেন না।
মিমির কথায়, ঋতুদাই তাঁকে শাড়ি পরা শিখিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, গানের ওপারে সিরিয়ালে পুপে কোন কাজ করলে তাঁর শাড়ির আঁচল কেমন থাকবে, সবটাই হাতে ধরে মিমিকে শেখান ঋতুদা। প্রসঙ্গত, গানের ওপারে সিরিয়াল দিয়েই মিমির ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখা। তাঁর পুপে চরিত্রটি এখনও দর্শকদের মনে গেঁথে রয়েছে। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি মিমিকে। একের পর এক সিনেমায় ছক্কা হাঁকিয়ে গিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, রাজনীতি থেকে বিদায় নিয়েছেন মিমি। এই বছর লোকসভা নির্বাচনে টিকিটও পাননি। চুটিয়ে কেরিয়ারের দিকে মনোনিবেশ করছেন তিনি। গত বছর মিমির রক্তবীজ দারুণভাবে হিট হয়। এই ছবিতে মিমি প্রথমবার আবীরের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে মিমি ও আবীরের আলাপ। এই ছবিও বক্সঅফিসে সাফল্য অর্জন করেছে।