গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড মানেই তা নিয়ে বিতর্ক, আলোচনা থাকবেই। কিছু বছর আগেই বলিউড তোলপাড় হয়েছিল মিটু আন্দোলনে। যার ছাড়া এসে পড়েছিল টলিউডেও। সম্প্রতি নাট্য দুনিয়াতেও এই মিটু কাণ্ড নিয়ে বেশ সরগরম হতে দেখা যায়। অতীতের অনেক তিক্ত অভিজ্ঞতাই সোশ্যাল মিডিয়ায় উগড়ে দিয়েছেন অনেক নামী দামী তারকারাও। কিছুদিন আগেই অভিনেত্রী চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়ও তাঁর ছোটবেলায় ঘটা ভয়ঙ্কর এক অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন সোশ্যাল মিডিয়া পেজে। এবার সোহিনী তাঁর জীবনে ঘটা এক ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করলেন।
এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে সোহিনী তাঁর সঙ্গে ঘটা এই হেনস্থার কথা জানান। অভিনেত্রীর কথায়, যৌন হেনস্থা যে শুধু বিনোদন জগতেই ঘটে এমনটা নয়। সোহিনী নিজের বাড়িতেও একবার হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন। অভিনেত্রী জানান, তাঁর পাশের ফ্ল্যাটে এক ইলেকট্রিশিয়ান এসেছিল। আর তিনি সেখানে ঝুঁকে দাঁড়িয়ে কিছু একটা বলছিলেন। হঠাৎই খেয়াল করেন, তাঁর পিছনে কেউ একটা চিমটি কেটে চলে যায়! সোহিনী সাক্ষাৎকারে বলেন, ভাবুন একবার, আমার বাড়িতে দাঁড়িয়ে এই ধরনের ঘটনা ঘটল আমার জীবনে। সেই ব্যক্তিকে ডেকে কষিয়ে চড় মারব, সেই অবকাশটা পর্যন্ত পায়নি। ঘটনার আকস্মিকতায় উবলব্ধি করতেই খানিকটা দেরি হয়ে গিয়েছিল। আর তত ক্ষণে সেই ব্যক্তি উধাও।
সোহিনী আরও বলেন যে সেই ঘটনার পর তিনি সারারাত ঘুমোতে পারেননি। সেই খারাপ অভিজ্ঞতার কারণে তিনি মায়ের সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করে ফেলেছিলেন। সোহিনী এও জানিন যে তিনি এই ধরনের মানুষদের অত্যন্ত ঘৃণা করেন। প্রসঙ্গত, টলিউড হোক বা বলিউড যৌন হেনস্থার মুখোমুখি অনেক অভিনেত্রীদেরই হতে হয়েছে। বলিউডে মিটু আন্দোলনের অভিয়ুক্তদের তালিকাটা ছিল বেশ দীর্ঘ। সুরকার থেকে পরিচালক-প্রযোজক, অভিনেতা কে ছিল না সেই তালিকায়। সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে অনেক তারকাই এই মিটু আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন।
কিছুদিন আগে চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায় নিজেই সোশ্যাল মিডিয়াতে তাঁর সঙ্গে ঘটা যৌন হেনস্থার কথা তুলে ধরেছিলেন। চূর্ণী ১২ বছর বয়সে যৌন হেনস্থার শিকার হন। এতবছর পর তিনি মনে সাহস জুগিয়ে সেই ঘটনার কথা সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করেন। মিটু বিতর্ককে উস্কে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্ফোরক পোস্ট করেছিলেন চূর্ণী। অভিনেত্রী তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পেজে জানিয়েছেন যে তিনি শৈশবে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছিলেন। সেই ব্যক্তির যে কোনও শাস্তি হয়নি সে কথাও জানাতে ভোলেনি চূর্ণী। তবে অভিনেত্রীর বিশ্বাস সেই ব্যক্তি তাঁর কর্মফল ভোগ করবেন।