রাজ্যে ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। প্রাণ হারাচ্ছেন বহু মানুষ, যা যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বহু তারকার আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও একের পর টেলি অভিনেতাদের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। রুবেল দাসের পর আরও এক টেলি অভিনেত্রীর ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। আক্রান্ত শ্রাবণী ভুঁইঞা, অর্থাৎ ছোট পর্দার মুকুট।
সম্প্রতি মাকে নিয়ে বাইরে ঘুরতে গিয়েছিলেন শ্রাবণী। সেখানেই তাঁর ধুম জ্বর আসে। এরপর পরীক্ষা করানোর পর জানা যায়, তাঁর ডেঙ্গি রিপোর্ট পজিটিভ। শ্রাবণীর দেশের বাড়ি কাঁথি। আপাতত সেখানেই রয়েছেন অভিনেত্রী। অনেকটা দুর্বল থাকলেও, এখন আগের চেয়ে অনেকটাই সুস্থ তিনি। প্লেটলেটও ঠিকই আছে। শ্রাবণীর জেঠু চিকিৎসক, তাই হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়নি তাঁকে। জেঠুর তত্ত্বাবধানে বাড়িতেই রয়েছেন তিনি।
দিনে প্রায় ১৪- ১৫ ঘণ্টা স্টুডিয়োতেই কাটান ছোটপর্দার শিল্পীরা। কিছু কিছু স্টুডিয়ো শহর থেকে অনেকটাই দূরে এবং চারপাশে খুবই অপরিচ্ছন্ন বলে অভিযোগ। এই সমস্যার জন্য, শিল্পীদের স্বার্থে কি কোনও পরিকল্পনা রয়েছে 'ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ান্স অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া' অর্থাৎ ফেডারেশনের? সংবাদমাধ্যমকে ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাসের বলেন, "মশার উৎস খোঁজার কাজ তো আমাদের নয়। এই দায়িত্ব কলকাতা কর্পোরেশনের। যাঁর স্টুডিয়ো তাঁরও দায়িত্ব। এ বার কখন শিল্পীকে মশা কামড়েছে সেটা আদৌ স্টুডিয়োয় কি না, সেটা বোঝা খুবই কঠিন। সাধারণত শুনেছি ডেঙ্গির মশা সকালেই কামড়ায়। তবুও যদি কোনও সংশ্লিষ্ট স্টু়ডিয়োর ক্ষেত্রে দেখি বার বার এই ঘটনা ঘটছে, তা হলে নিশ্চয়ই সতর্ক হব, স্টুডিয়োর মালিকের সঙ্গে কথা বলব।"
প্রসঙ্গত, ডেঙ্গির মরশুম থাকে সাধারণভাবে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত। রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। হিসেব বলছে গত এক দশকে সর্বোচ্চ ডেঙ্গির খবর মিলেছে এবার। স্বাস্থ্য দফতরের অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট বলছে, ২৪ অক্টোবর, দশমী পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন মোট অন্তত পৌনে এক লাখ মানুষ। স্বাস্থ্যকর্তাদের আশঙ্কা, চলতি মরশুমে মোট ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা হয়তো লাখ ছুঁইছুঁই হয়ে যেতে পারে।