নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা। আগের তুলনায় অবনতি হয়েছে তাঁর। পুরনো প্রস্টেট ক্যানসার ছড়িয়ে গিয়েছে ফুসফুস ও মস্তিষ্কে। মূ্ত্রথলিতেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন বেলভিউ নার্সিংহোমে।
শুক্রবার থেকে ক্রমশ শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে তাঁর। দ্বিতীয়বার প্লাজমা থেরাপির পর কিছুটা ভাল থাকলেও সোমবার দুপুরের পর থেকে ফের উদ্বেগ বাড়তে থাকে। চিকিৎসকরা আগেই আশঙ্কা করেছিলেন ক্যানসার ছড়িয়ে পড়তে পারে ফুসফুস ও মস্তিষ্কে।
হাসপাতালের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ''অ্যাগ্রেসিভ নিউরো অ্যাসেসমেন্ট করে তবেই জানা যাবে কেন এনসেফেলোপ্যাথি বা মস্তিষ্কের ভেতরে ফুলে যাচ্ছে। এর কারণেই তাঁর অবস্থার অবনতি হচ্ছে।''
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বেলভিউ ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছেন ৮৫ বছরের বর্ষীয়ান অভিনেতা। রবিবারের সন্ধ্যের মেডিকেল রিপোর্ট অনুযায়ী, ''মাঝে মাঝে ধৈর্য হারিয়ে উত্তেজিত হয়ে পড়ছেন তিনি।''
তবে ভেন্টিলেশনে নেই ফেলুদা। যদিও জ্বর রয়েছে ১০১। শনিবার প্রথম প্লাজমা থেরাপি হয় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের। রবিবার অবস্থার অবনতি হলে ফের প্লাজমা থেরাপি করা হয়। সেই সঙ্গে চলছে রিমডেসিভির, স্টেরয়েডস, অ্যান্টিকোয়ুল্যান্টস এবং অক্সিজেন থেরাপি। ১০জন চিকিৎসকের একটি মেডিকেল টিম দেখাশোনা করছে তাঁর। বাইরে থেকে ছয় জন ডাক্তার মনিটর করছেন সৌমিত্রর অবস্থা।
বাঙালির জনপ্রিয় ও বর্ষীয়ান অভিনেতা বড়পর্দায় এসেছিলেন সত্যজিৎ রায়ের হাত ধরে, ১৯৫৯ সালে 'অপুর সংসার' ছবিতে। তারপরে সত্যজিতের ১৪টি ছবিতে অভিনয় করেছেন সৌমিত্র। শুধু তাই নয়, মৃণাল সেন, তপন সিনহা, তরুণ মজুমদার-সহ প্রথম সারির পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি।
অভিনয়ের পাশাপাশি মঞ্চেও সমান পারদর্শীতায় কাজ করে চলেছেন সৌমিত্র বাবু। তার মধ্যে কিছু নাটকের নির্দেশনাও দিয়েছেন। ২০১৯ সালে 'সাঁঝবাতি' ছবিতে শেষ অভিনয় করেছেন তিনি। সম্প্রতি পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের পরিচালনায় শেষ করেছেন তাঁর বায়োপিকের শুটিং।