হিন্দু ধর্ম মতে, মা অন্নপূর্ণা সন্তুষ্ট হলে গৃহে কখনও অন্নের অভাব ঘটে না। পশ্চিমবাংলার বিভিন্ন স্থানে তাই ভক্তি ভরে দেবীর পুজো করা হয়। ১৬ এপ্রিল পড়েছিল এবছরের অন্নপূর্ণা পুজো। বাড়িতে দেবীর পুজোর আয়োজন করেছিলেন রাজ চক্রবর্তী ও শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি শেয়ার করেছেন তারকা দম্পতি।
একেবারে ট্রাডিশনাল পোষাকে এদিন দেখা গেল 'রাজশ্রী'কে। রাজের পরনে ছিল সাদা রঙা পাজামা- পঞ্জাবি। অন্যদিকে শুভশ্রী এদিন সেজেছিলেন সোনালী রঙা শাড়িতে। গা ভর্তি সোনার গয়না, হাতে শাঁখা পলা, সিঁথি রাঙানো সিঁদুর পরেছিলেন টলিউড নায়িকা। ভক্তিমনে দেবী অন্নপূর্ণার কাছে প্রার্থনা করার সময় লেন্সবন্দী হয়েছেন তিনি। যজ্ঞর সময় পুজোয় বসেছিলেন রাজ- শুভশ্রী দু'জনেই। বাড়িতে এসেছিলেন কিছু বন্ধু- বান্ধব, আত্মীয়- পরিজনেরা।
নেটমাধ্যমে এই ছবি শেয়ার করলেই সেখানে শুভেচ্ছা, ভালোবাসায় ভরাচ্ছেন তারাকা থেকে শুরু করে অনুগামীরা। কেউ লিখেছেন, "তোমাকেই তো ঠাকুরের মতো দেখাচ্ছে। চোখদুটো কি সুন্দর…।" অন্য আরেকজন আবার লিখেছেন, "লক্ষী ঠাকুরের মতো লাগছে...।" যদিও কটাক্ষ করতেও ছাড়েনি নেটিজেনদের একাংশ। একজন লিখেছেন, "চোরচোট্টা তৃণমূলের চুরির টাকাগুলো সাবধানে রাখবেন, ইডি-সিবিআই এলে যাতে বেশি সময় নষ্ট না হয় ...।" তবে নেতিবাচক মন্তব্যর থেকে প্রশংসা ও ইতিবাচক মন্তব্যই বেশি কমেন্ট বক্সে। এক কথায় বলা যায়, তারকা দম্পতির লুকে মুগ্ধ সকলে।
মা অন্নপূর্ণাকে অনেকে অন্নদা দেবী নামেও ডাকেন। দেবী অন্নপূর্ণার দুই হাতে অন্নপাত্র ও দর্বী থাকে এবং মাথায় থাকে নবচন্দ্র। এছাড়া একপাশে থাকে ভূমি এবং আর একপাশে থাকে শ্রী। বিশ্বাস করা হয় যে, দেবী নৃত্যপরায়ণ মহাদেব শিবকে দেখে সন্তুষ্ট হন।
এছাড়াও পুরাণে আছে, বিয়ের পর দেবাদিদেব শিব এবং পার্বতীর সংসারে এক সময়ে অন্নকষ্ট দেখা দেয়। সেই সময়ে তখন পার্বতীর থেকে তিরস্কৃত হয়ে মহাদেব ভিক্ষা করতে বেড়িয়ে পড়েন। কিন্তু পার্বতীর মায়ায় তিনি ভিক্ষা না পেয়ে, শেষে কৈলাশে ফিরে আসেন। ফিরে এসে পায়েস, পিঠে ইত্যাদি আহার করেন। এরপরই দেবী এই মহিমাবৃদ্ধির জন্য কাশীতে অন্নপূর্ণা দেবীর মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়। কৃষ্ণানন্দ রচিত তন্ত্রসার গ্রন্থ এবং দক্ষিণামূর্তি সংহিতা গ্রন্থে মা অন্নপূর্ণার পূজার উল্লেখ পাওয়া যায়। এছাড়াও কাশীতে অন্নপূর্ণা পূজা ও অন্নকূট পালন করা হয়।