বাংলা, হিন্দির পাশাপাশি দক্ষিণী চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতেও বর্তমানে দাপিয়ে কাজ করছেন যিশু সেনগুপ্ত (Jisshu Sengupta)। ১৯ অক্টোবর মুক্তি পাবে তাঁর নতুন বাংলা ছবি 'দশম অবতার'। ফলে এবারের পুজো অনেকটাই স্পেশাল অভিনেতার কাছে। পুজোর (Durga Puja) নস্ট্যালজিয়া থেকে এবছরের প্ল্যান নিয়ে bangla.aajtak.in-র সঙ্গে আড্ডা দিলেন যিশু।
আজতক বাংলা: পুজো কতটা স্পেশাল আপনার কাছে?
যিশু সেনগুপ্ত: পুজো অনেকটা স্পেশাল আমার কাছে। বলা যায়, পুজোটা আমার কাছে মায়ের স্মৃতি। আমি যে পাড়ায় বড় হয়েছি, সেই পাড়ার পুজোটা মা করতেন। দক্ষিণ কলকাতার লেক সর্বজনীন দুর্গোৎসব আমাদের পুজো। এই পুজোটা মায়েরাই করতেন। মা এই পুজোর একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। মা মারা যাওয়ার পর এই পুজোর দায়িত্বটা আমি নিয়েছি। বা বলা ভাল, আমরা সবাই মিলেই পুজোটা করি।
প্রশ্ন: এবছর কীভাবে প্রস্তুতি সারলেন, এত ব্যস্ততার মধ্যে?
যিশু: ব্যস্ত থাকলেও সব জায়গায় ফোনে- ফোনেই সমস্ত প্রস্তুতি সেরেছি।
প্রশ্ন: বলিউড- দক্ষিণী ছবির কাজও করছেন পুরো দস্তুর, পুজোয় কলকাতায় থাকছেন?
যিশু: হ্যাঁ, সাধারণভাবে আমি পুজোয় কলকাতায় থাকি। মূলত পাড়াতেই থাকি।
প্রশ্ন: ঢাক বাজান?
যিশু: (হেসে) ভাসান পর্যন্ত চলে।
প্রশ্ন: আর ভোগ?
যিশু: খাওয়া থেকে পরিবেশন অবধি সবই করি।
প্রশ্ন: তার মানে পুজোয় 'নো ডায়েট'!
যিশু: আমি জীবনে ডায়েট মেনে চলি না, এখনও না। গতকালই রাত তিনটের সময় বিরিয়ানি আর চাপ খেয়েছি।
প্রশ্ন: সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায়ই জিমে আপনার শরীরচর্চার ছবি দেখা যায়...
যিশু: শরীরচর্চা একটু- আধতু করি অবশ্যই। এমনকী আমার বাড়িতেও একটা জিম আছে। সেখানেও ওয়ার্ক আউট করি। তবে যেহেতু বাড়িতে খুব কম থাকা হয়, প্রচুর ট্রাভেল হয় তাই ওখানে খুব বেশি ওয়ার্ক আউট হয় না। যতটা বেশি শরীরচর্চা করা যায়, সেই চেষ্টা করি। তবে আমি স্পেশাল ডায়েট কোনও দিনও মেনে চলি না।
প্রশ্ন: কী খেতে ভালোবাসেন?
যিশু: মিষ্টি খাই। বিরিয়ানি খেতে খুব ভালোবাসি। আরেকটা প্রিয় খাবার ডাল- ভাত- আলুভাজা। সেটা প্রায় রোজই খাই। এর সঙ্গে মাংস বা মাছ যেটাই হোক খাই। আমি প্রায় সবই খাই বলা যায়।
প্রশ্ন: পুজোর স্পেশাল শপিং করেছেন?
যিশু: পুজোর জন্য ধুতি- পঞ্জাবি একটা কেনা হয়ই। সেটা সাধারণভাবে প্রতি বছর নীলাঞ্জনা কেনে। ছোটবেলা থেকেই অষ্টমীতে ধুতি- পঞ্জাবি পরার অভ্যেস। তবে এবছর কিনতে বারণ করেছি। এত ধুতি- পঞ্জাবি জমে গেছে, সেগুলো পরা হয় না। এছাড়া সারা বছর, প্রতি মাসেই এত জামাকাপড় কেনা হয় এখন... বাচ্চাদের জন্য অবশ্যই কেনা হয়। আমাদের জন্যেও কেনা হয় না, তা নয়।
প্রশ্ন: পুজোয় শপিংয়ের সেই উন্মাদনাটা বোধ হয় আগের থেকে অনেকটাই কমেছে...
যিশু: হ্যাঁ আগে পুজো আর পয়লা বৈশাখে শুধু জামাকাপড় কেনা হত। এখন পয়লা বৈশাখে আর সেভাবে কেনা হয়ই না। আমাদের বাড়ির বাচ্চাদের ক্ষেত্রে পুজোর পাঁচদিনের পাঁচটা জামা অবশ্যই হয়। তবে বড়দের পুজোর কেনাকাটা অনেকটাই কমে গেছে।
প্রশ্ন: বিজয়ায় বাড়িতে মিষ্টি- নিমকি তৈরি হত?
যিশু: না আমাদের বাড়িতে সেই সময় মিষ্টি তৈরি হত না। তবে বাড়িতে লক্ষ্মী পুজো হত। এখন নীলঞ্জনা গণেশ পুজো করে বহু বছর ধরে। প্রায় ১২- ১৩ বছর ধরে এই পুজো হচ্ছে। এছাড়া অফিসে সরস্বতী পুজো হয়।
প্রশ্ন: পুজোর প্রেম নিয়ে কোনও বিশেষ স্মৃতি আছে?
যিশু: পুজোয় আলাদা করে প্রেম হত না। আমার যে প্রেম সেসময় ছিল, তা আগে থেকেই ছিল।
প্রশ্ন: পাঠকদের জন্য কোনও স্পেশাল মেসেজ...
যিশু: পুজো খুব আনন্দ করে কাটান। জীবন অনেকটা এনজয় করার জন্য। তবে অবশ্যই সাবধানে। এমন কিছু করবেন না, যা ক্ষতিকারক। খাওয়া- দাওয়া, প্রচুর মজা করুন। শুধু পুজো নয়, জীবনটাকে মজা করে কাটানোর চেষ্টা করুন।