নির্বাচন থেকে সিনেমা, ১২৫ তম জন্মশতবর্ষে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু হয়ে উঠেছেন 'টক অফ দ্য টাউন'। হঠাৎ করেই বিতর্কে উঠে এল প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের নাম। সৌজন্যে- তাঁরই অভিনীত ছবি 'গুমনামী'। নেতাজির জন্মদিনে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় অভিনীত নেতাজির যে ছবি সেই ছবি উন্মোচন করেছেন রাষ্ট্রপতি , এমনই বিতর্ক উঠেছিল টুইটারে। ইন্ডিয়া টুডে ইস্ট ইন্ডিয়া কনক্লেভ ২০২১-এর মঞ্চে ফের সেই বিতর্কে জল ঢাললেন অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
যে ছবি নিয়ে এত বিতর্ক সেই ছবি প্রসঙ্গে প্রসেনজিৎ এদিন বলেন, "আমি আমার ওই একইরকম লুক করার জন্য বিশেষভাবে ধন্যবাদ দিতে চাই গুমনামী ছবির পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় ও মেকআপ আর্টিস্টকে। ৭ থেকে ৮ মাস ধরে শুটিং করেছিলাম। নেতাজির সঙ্গে মিল নিয়ে যে বিতর্ক হচ্ছে আমি শিল্পী হিসেবে নিজেকে সার্থক মনে করছি। সৃজিতকে ধন্যবাদ আমাকে এই ছবিতে কাস্ট করার জন্য। যদিও আমি নেতাজির মত একেবারেই দেখতে লাগছিলাম না লুক টেস্টে। কিন্তু আমার পরিচালক খুব কনফিডেন্ট ছিলেন।"
কিন্তু নেতাআজির নাম নিয়ে যে রাজনীতি চলছে সেই বিষয়টি কী ক্ষুণ্ণ করছে অভিনেতাকে? প্রসেনজিতের কথায়, "একটি বিষয় যেটি আমার সবসময় মনে হয় তা হল আজকের সমাজে নেতাজির প্রয়োজনীয়তা। ওঁর মত নেতার আজ খুব দরকার। নেতাজির থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। এত নির্ভীক, এত স্বাধীনচেতা যা শেখার। গুমনামী ছবির শুটিংয়ের পর আমি প্রায় ১০ থেকে ১১ মাস ওই একই ভাবে হাঁটতাম। আমার অভ্যেস হয়ে গিয়েছিল।"
তবে রাজনীতি প্রসঙ্গে কিছুটা ডিফেন্ড ব্যাটিং করলেন অভিনেতা। প্রসেনজিৎ বলেন, "আমি রাজনীতি নিয়ে কোনও কথা বলতে চাই না। কিন্তু কিছু মানুষ থাকেন রাজনীতির উর্ধ্বে। মূলত নেতাজির মত মানুষ। তাঁকে নিয়ে রাজনীতি করা যায় না। ভগবানকে যেরকম আলাদ করে তুলে রাখি সেরকম নেতাজিকে রাখা উচিত।"