তারকাদের যে কোনও সম্পর্কের সমীকরণ বোঝা খুবই কঠিন। কখন 'বেস্টির' সঙ্গে 'আদায় কাঁচকলা সম্পর্ক' হয়ে যাবে তা ধরতে পারবেন না। অন্যান্য অভিনেত্রীদের মধ্যে 'ক্যাট ফাইট' দেখা গেলেও, তা থেকে শতহস্ত দূরে থাকতেন মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty) ও নুসরত জাহান (Nusrat Jahan)। এমনকী দু'জন দু'জনকে 'বোনুয়া' বলে সম্বোধন করতেন, একথা এখন আর কারও অজানা না।
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ব্যক্তিগত জীবনেও, একে অপরকে বোনের মতো ভালোবাসতেন বলেই দাবি করতেন তাঁরা। তবে এখন যে দু'জনের সম্পর্কে ফাটল ধরেছে তা টলিউডের 'ওপেন সিক্রেট'। ১১ এপ্রিল ছিল ইদ-উল-ফিতর। বিরিয়ানি খাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন মিমি, এদিন নুসরতও বানালেন বিরিয়ানি।
একজন বিরিয়ানির খাওয়ার আবদার করেছেন, আরেকজন যত্ন করে বিরিয়ানি বানিয়েছেন ঠিকই। তবে এতটা পড়ে যারা ভাবছেন, মিমির জন্য বিরিয়ানি রেঁধেছেন নুসরত, তারা একেবারেই ভুল ভাবছেন। আসলে নুসরত এবারের ইদ উদযাপন করেছেন নিজের পরিবার ও একেবারে কাছের বন্ধু- বান্ধবের সঙ্গে। অন্যদিকে মিমি আলাদাভাবেই নিজের ইনস্টা স্টোরিতে বিরিয়ানি খাওয়া ইচ্ছে প্রকাশ করেন।
টলিউডে এক দশকের বেশি সময় কাটিয়ে ফেলেছেন মিমি -নুসরত দু'জনেই। তবে দীর্ঘদিন তাঁদের একসঙ্গে কোনও ছবি প্রকাশ্যে আসেনি। এমনকী ২০১৯ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ হওয়ার জার্নি একসঙ্গেই শুরু হয় তাঁদের। সেই সময়ে ওয়েস্টার্ন পোষাক পরে পার্লামেন্টের সামনে ছবি তোলায় ট্রোলিংয়ের শিকার হতে হয়েছিল তাঁদের।
নুসরতের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়েও তাঁর পাশে দেখা যায়নি মিমিকে। শুধু তাই নয়, যে সময় যশ- নুসরত সংবাদ শিরোনামে ছিলেন, তখনও তাঁদের পাশে ছিলেন না নায়িকা। সেসময় নুসরতকে নিয়ে প্রশ্ন করায় 'প্রাক্তন বোনুয়া'র প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান তিনি।
নুসরত- মিমির মধ্যে সত্যিই দূরত্ব তৈরি হয়েছে? এই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করায়, বারবারই জবাব দিতে অস্বীকার করেন দুই নায়িকাই। সংবাদমাধ্যমকে মিমি এবিষয়ে বলেছিলেন, "আমার আর নুসরতের সম্পর্ক ঠিক কী রকম, তা আমি প্রকাশ্যে কিংবা কোনও সংবাদমাধ্যমকে বলতে চাই না।" এক সময় ভোটের প্রচার, পার্টি হোক কিংবা বিশেষ সময়, মিমি- নুসরত থাকতেন সব সময় একে অপরের পাশে। এবছরই দু'জনেরই কেউই লোকসভার টিকিট পানমি তৃণমূল- কংগ্রেসের থেকে। তবে তাঁদের সম্পর্কের রসায়ন ঠিক কতটা মধুর- অম্ল বা তিক্ত, তা সময়ই বলবে।