টলিপাড়ায় একের পর এক সানাই বাজার খবর আসছে। কাঞ্চন মল্লিক- শ্রীময়ী চট্টরাজের সামাজিক বিয়ের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে। শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা, ব্রাইডাল স্কিনকেয়ার, নেইল এক্সটেনশন ইত্যাদি সহ প্রস্তুতি চলছে একেবারে জোরকদমে। এর মধ্যেই শুরু হল আইবুড়োভাত খাওয়ার পালা। হবু বর- কনেকে একসঙ্গেই আইবুড়োভাত খাওয়ালেন তাঁদের কাছের মানুষেরা।
অভিনেতা- বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক তৃতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন। তবে শ্রীময়ীর এটা প্রথম বিয়ে। নিজের সোশ্যাল পেজে জীবনের প্রথম আইবুড়োভাত খাওয়ার নানা মুহূর্ত শেয়ার করেছেন ব্রাইড-টু-বি। শহরের একটি রেস্তোরাঁতে এই আয়োজন করা হয়েছিল। একেবারে সাবেকিয়ানার ছোঁয়াতে কাঞ্চন- শ্রীময়ীর আইবুড়োভাত উদযাপন হল। মেনুতে ছিল লুচি, পাঁচ রকম ভাজা, ভাত, ডাল, বাসন্তী পোলাও, পাতুরি, ডাব চিংড়ি, মাংস, চাটনি, পাঁপড়, মিষ্টি সহ আরও নানা পদ।
ছবিগুলি শেয়ার করে ক্যাপশনে বন্ধুদের উদ্দেশ্যে একটি আবেগঘন মেসেজ লেখেন শ্রীময়ী। তিনি লেখেন, "জীবনে অনেক মানুষ দেখেছি কিন্তু এমন বন্ধু দেখিনি, যারা সবসময় আমার ভাল-মন্দের সময়ে পাশে থেকেছে। শুধু আমার নয়, কাঞ্চনের পাশে থেকেছে কোনও স্বার্থ ছাড়া। এটাকে হয়ত নিঃস্বার্থ বন্ধুত্ব বলা যায়। মানে নিঃশর্ত ভালোবাসা, যখন আমার কিছু দরকার ছিল, আমি একবার তাদের ডেকেছিলাম কিন্তু তারা সঙ্গে সঙ্গে আমাদের পাশে হাজির হয়েছিল। বলা হয় বন্ধুত্ব বারবার তৈরি হয় না, আমার জন্য এটি সেরা উদাহরণ। সত্যিকারের বন্ধুত্ব বারবার তৈরি হয় না। বন্ধুত্ব একবারই হয় এবং বন্ধুত্ব শব্দের অর্থ অনেক কিছু।"
তিনি আরও লেখেন, "যত বাধাই আসুক না কেন, কেউ কখনও স্বার্থপরের মতো হাত ছেড়ে যায় না। তাই হয়তো আমাদের বন্ধুত্ব গভীর। আমি চাই আমাদের বন্ধুত্বের বন্ধন সারাজীবন এভাবেই থাকুক। গতকাল আমি এবং কাঞ্চন ওদের কাছ থেকে একটি সারপ্রাইজ পেয়েছিলাম এবং আমরা সত্যিই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম। আমরা একবারও অনুভব করিনি যে আমাদের রক্তের সম্পর্ক নেই। সত্যিই মনে হচ্ছে ওরা শুধু আমার বন্ধু নয়, আমার আত্মীয়র থেকে বেশি। আমি চাই আমাদের বন্ধুত্ব চিরকাল এমনই থাকুক এবং আমি খুব গর্বিত...।"
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে সই-সাবুদ করে বিয়ে করেন কাঞ্চন মল্লিক ও শ্রীময়ী চট্টরাজ। ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হতেই সকলে চমকে যান। এবছর ৬ মার্চ চার হাত এক হবে জুটির। একেবারে কাছের পরিবার- পরিজনদের নিয়ে একই দিনে হবে তাঁদের ওয়েডিং রিসেপশন। অর্থাৎ একই দিনে হবে তাঁদের বিয়ে ও রিসেপশন। দু'জনের বয়সের ফারাক অনেকটাই। তা একেবারেই দাম্পত্যে বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে না বলেই বিশ্বাসী নব দম্পতি।