প্রায় ২৫ বছর আগের কথা। স্মৃতির সরণিতে হাঁটলেন সুপারস্টার জিৎ (Jeet)। শেয়ার করলেন অমিতাভ বচ্চন কর্পোরেশন লিমিটেডের (Amitabh Bachchan Corporation Limited) তরফ থেকে পাওয়া চিঠি।
আজকে সুপারস্টার হলেও, তাঁকে যে জীবনে স্ট্রাগল করতে হয়েনি তা কিন্তু একেবারেই নয়। শুরু থেকেই ওঠা-পড়া, ঘাত-প্রতিঘাত। সব কিছু মেনে এগিয়ে গিয়েছেন নিজের লক্ষ্যে। আজকে তিনি সুপারস্টার। শুধুই সুপারস্টার নন, দক্ষ প্রযোজকও। জিৎ। জিতেন্দ্র মদনানী।
হঠাৎই আজ সুপারস্টার জিৎ স্মৃতির পাতা ওল্টাতে ওল্টাতে পেয়ে গিয়েছেন যখের ধন। অমিতাভ বচ্চন কর্পোরেশন লিমিটেডের চিঠি (Amitabh Bachchan Corporation Limited)। ১৯৯৬-এ অমিতাভ বচ্চনের ট্যালেন্ট হান্ট শো, 'স্টারট্র্যাক ইন্টারভিউ অ্যান্ড অডিশন' (Startrack Interview & Audition)-এ অংশগ্রহণ করেছিলেন জিৎ। সেই কোম্পানি থেকে পাওয়া সিলেকশন লেটার আজ নিজের টুইটার পেজে শেয়ার করেছেন তিনি।
Trust attracts Trust . Thanks @SrBachchan Love you ❤️ pic.twitter.com/M59qWc8nxs
— Jeet (@jeet30) November 20, 2020
লেটারে ছিল, একটা প্যাসেজ পড়ে শোনাতে হবে। তিন মিনিট সময়ের মধ্যে অভিনয় করে দেখাতে হবে, সেটা যে কোনও ছবির অংশ বা নাচ হতে পারে। আর একটা স্ক্রিপ্ট দেওয়া থাকবে, সেই স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী ওই চরিত্রের অভিনয় করে দেখাতে হবে। তাঁর অভিনয় দক্ষতার বিচার হবে সেখান থেকেই।
জিৎ সেই প্রতিযোগিতায় কী করেছিলেন তা জানতে হয়ত ইচ্ছে করছে সকলেরই। কিন্তু জিৎ নিজেই যে আজ ডাউন মেমরি লেনে। আজকে তিনি সফল অভিনেতা। প্রযোজক। দক্ষ সঞ্চালকও।
মডেলিং দিয়ে কেরিয়ার শুরু ১৯৯৩-এ। ১৯৯৪- ৯৫-এ প্রথম অভিনয় পরিচালক বিষ্ণু পালচৌধুরীর ধারাবাহিক 'বিষবৃক্ষ'-তে। এরপর কলকাতা-মুম্বই, মুম্বই-কলকাতা। ২০০১-এ তেলুগু ছবি 'চাঁদু'-তে অভিনয় করে বড়পর্দায় অভিষেক। সে ছবিতে খুব একটা প্রশংসা না পেলেও, ২০০২-এ হরনাথ চক্রবর্তীর 'সাথী' তাঁকে পরিচয় করিয়েছিল বাংলা সিনেমা জগতের সঙ্গে। তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন প্রিয়াঙ্কা ত্রিবেদী। এই ছবির পর তাঁকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। ওই বছরই বেঙ্গল ফিল্ম জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অ্যাওয়ার্ডে মোস্ট প্রমিসিং অভিনেতা এবং আনন্দলোক অ্যাওয়ার্ডে সেরা অভিনেতার সম্মান। এরপর একের পর এক হিট। নাটের গুরু, সঙ্গী, বন্ধন, যুদ্ধ আরও কত কী। বক্সঅফিসে হিট জিৎ। ছবি মুক্তিতে সিনেমা হলের বড় ব্যানারে জিতের গলায় মালা।
আজও থেমে থাকেননি জিৎ। থেমে থাকতে যে শেখাই হয়নি কখনও। নিজের জন্য তো বটেই, ভক্তদের জন্য, বাংলা সিনেমার জন্য যতদিন পারেন লড়ে যাবেন।