করোনার ভ্যাকসিন (Corona vaccine) নিয়ে প্রশ্নের শেষ নেই। কোন ভ্যাকসিন (Vaccine) বেশি কার্যকর, তা নিয়ে নানা মুনির নানা মত। এহেন পরিস্থিতিতে স্বদেশী ভ্যাকসিন Covaxin শীঘ্রই বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-র অনুমোদন পেয়ে যেতে পারে।
WHO-র চিফ সায়েন্টিস্ট সৌম্য স্বামীনাথন খোদ এমনই ইঙ্গিত দিলেন। তিনি বলেন, Covaxin-এর ফাইনাল ফেজ ট্রায়ালের ডেটা ঠিকই আছে মনে করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক গণস্বাস্থ্য এজেন্সির মানদণ্ডে Covaxin পাশ হয়ে যাবে বলেই মনে করছি।
ডা. স্বামীনাথন আরও জানান, ২৩ জুন ভারত বায়োটেক ও WHO একটি প্রি-সাবমিশন বৈঠক করেছে। এখন কোভ্যাক্সিনের ট্রায়াল সম্পর্কিত ডেটা একত্র করা হচ্ছে। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে Covaxin কম প্রভাবশালী, তবুও টিকাটি ভাল। ওভারঅল এফিকেসি রেট অনেকটাই ভাল।
প্রসঙ্গত, ভারত বায়োটেক গত শনিবার কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের অ্যানালিসিস প্রকাশ্যে আনে। করোনার উপসর্গ রয়েছে, এমন রোগীদের ক্ষেত্রে কোভ্যাক্সিনের ৭৭.৮ শতাংশ ওভারঅল কার্যকরী রেট বলে জানানো হয়েছে। করোনায় গুরুতর অবস্থার রোগীদের ক্ষেত্রে কোভ্যাক্সিন ৯৩.৪ শতাংশ কার্যকর।
এছাড়াও, দুনিয়ার ত্রাস COVID-19 ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট (B.1.617.2)-এর বিরুদ্ধে কোভ্যাক্সিন ৬৫.২ শতাংশ কার্যকর। স্বামীনাথন জানান, সব ভ্যাকসিনের কার্যকারিতাই খতিয়ে দেখছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা।
COVAXIN-এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: এই টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় দেখা যাচ্ছে, জ্বর, হাতে ব্যথা, কাঁপুনি, মাথা ঘোরা, মাথা যন্ত্রণা হচ্ছে। এছাড়াও খুব একটা গুরুতর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি এই ভ্যাকসিনের।
ডা. স্বামীনাথন জানান, কোভ্যাক্সিন নিয়ে WHO চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আরও কিছু ডেটা প্রয়োজন। সেই জন্যই অপেক্ষা করা হচ্ছে। আপাতত দেশের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষের টিকাকরণ খুব জরুরি প্রাথমিক ভাবে। তা হলেই করোনাকে নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে।