দেশে চলছে করোনার টিকাকরণ (Vaccination)। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী একনও পর্যন্ত ৬ লক্ষেরও বেশি মানুষকে টিকা দেওযা হয়েছে। তার মধ্যে মাত্র ০.১৮ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় হাজার খানেক মানুষের শরীরে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। আর তাঁদের মধ্যে ০.০০২ শতাংশ মানুকে ফের ভর্তি করতে হয়েছে হাসপাতালে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, প্রত্যেক স্বাস্থ্য কর্মীর নিজের থেকে এগিয়ে এসে টিকা নেওয়া উচিত। একই সঙ্গে ভ্যাকসিন সংক্রান্ত যে সমস্ত গুজব ছড়াচ্ছে তাতে কান না দেওয়ারও আবেদন জানানো হয়েছে। এই প্রসঙ্গে নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পাল জানিয়েছেন, যে দুটি ভ্যাকসিনে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে, তা পুরোপুরি ঠিক। প্রসঙ্গত ভ্যাকসিন দেওয়ার পর দুই ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। যদিও পরে সরকারের তরফে জানানো হয়, ভ্যাকসিনের সঙ্গে মৃত্যুর কোনও সম্পর্ক নেই। এমনকি ময়নাতদন্তেও সেই কথা স্পষ্ট হয়ে যায়।
দৈনিক টিকাকরণের সংখ্যার বিচারে বর্তমানে আমেরিকার থেকেও এগিয়ে রয়েছে ভারত। যত দিন এগোবে টিকাকরণের গতি আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বলা হয়েছে কোন সময় কোন ভ্যাকসিন দেওয়া হবে তা পুরোপুরি রাজ্য সরকারের ওপর নির্ভরশীল। জানা গেছে এখনও পর্যন্ত উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, লাক্ষাদ্বীপ, সিকিম, ওডিশা, তেলেঙ্গানার মত রাজ্যগুলিতে ৭১ শতাংশেরও বেশি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত এখনও পর্যন্ত কোভিশিল্ড (Covishield) ও কোভ্যাকসিনকে (Covaxin) ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্র। এছাড়াও আরও ৪টি ভ্যাকসিনের ওপরে কাজ চলছে। অন্যদিকে দেশে করোনার প্রভাবও এখন নিম্নমুখী। প্রায় ৮ মাস পর দেশে একদিনে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ১৪০-এর নিচে, যা বেশ কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে স্বাস্থ্য কর্তাদের।