দেশে জোরকদমে চলছে টিকাকরণ অভিযান। ভ্যাকসিনেশান চলছে এরাজ্যেও। যত বেশি সম্ভব মানুষকে টিকাকরণের আওতায় আনার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার। আর এবার ভ্যাকসিনেশানের ক্ষেত্রে নয়া উদ্যোগ কলকাতা পুরসভার। টিকাকরণের জন্য কলকাতা পুরসভার নয়া কর্মসূচি 'ভ্যাক্সিনেশান অন হুইলস'। যেখানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রত একটি বাসের মধ্যে দেওয়া হবে ভ্যাকসিন। এমনটাই জানালেন কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। পোস্তা বাজার থেকে এই কর্মসূচি শুরু হবে বলে জানান ফিরহাদ। এরপর শহরের বিভিন্ন বাজার, ট্রাক টার্মিনাস, বাস স্ট্যান্ড, অটো স্ট্যান্ডের মতো জায়গাগুলিতে ঘুরবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ওই বাসটি। তার মধ্যেই চলবে ভ্যাকসিনেশান। তবে টিকাকরণ হলেও মানুষকে আরও বেশি করে সচেতন থাকার বার্তা দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, করোনার টিকা গ্রহণ করলেও মাস্ক পরতেই হবে।
প্রসঙ্গত গত সোমবারই সোমবার ডিএম-এসপিদের সঙ্গে বৈঠকে টিকাকরণ (Vaccination) নিয়ে বেশকিছু তথ্য তুলে ধরেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী জানান, এখনও পর্যন্ত ১ কোটি ৪১ লক্ষ টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। তারমধ্যে কমপক্ষে ১.১ কোটিকে প্রথম ডোজ এবং ৪০ লক্ষকে দ্বিতীয় ডোজ। তিনি আরও জানান রাজ্য সরকার নিজেদের টাকায় ভ্যাকসিন কিনছে। মে মাসে প্রায় ১৮ লক্ষ ভ্যাকসিন কেনা হয়েছে এবং জুন মাসে আরও ২২ লক্ষ ভ্যাকসিন কেনা হবে। এরজন্য ১১৪ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এছাড়া সুপার স্প্রেডার, অর্থাৎ যাঁরা বেশি মানুষের সংস্পর্শে আসেন, যেমন সবজি বিক্রেতা, মাছ বিক্রেতা, পরিবহণ কর্মীদের টিকাকরণে জোর দেওয়া হচ্ছে বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখনও পর্যন্ত এই ধরনের প্রায় ৯ লক্ষ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে বলেও জানান রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
অন্যদিকে করোনায় তৃতীয় ওয়েভ (Corona Trird Wave) যদি আসে তার জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ধাপায় ইতিমধ্যেই একটি জায়গা দেখা হয়েছে। যেখানে প্রয়োজনে কবরস্থান তৈরি করা যেতে পারে। পাশাপাশি আরও একটি শ্মশানে চুল্লির সংখ্য বৃদ্ধি করা হচ্ছে বলেও জানান ফিরহাদ হাকিম।