প্রয়াত কবি শঙ্খ ঘোষ। করোনায় আক্রান্ত হয়ে হোম আইসোলেশানেই ছিলেন তিনি। আজ বুধবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁরা। কবির মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ সাহিত্যমহল। ইতিমধ্যেই শোকপ্রকাশ করেছেন কবি জয় গোস্বামী, সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় সহ বিশিষ্টরা। শোকাচ্ছন্ন তাঁর শত শত পাঠক ও গুনমুগ্ধ।
কবির প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। শোকবার্তায় মমতা লিখেছেন, 'বিশিষ্ট কবি, সাহিত্য সমালোচক ও রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ শঙ্খ ঘোষের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ সকালে কলকাতায় নিজ বাসভবনে প্রয়াত হন। বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। শঙ্খবাবু যাদবপুর, দিল্লি ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপনা করেছেন। তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ বাবরের প্রার্থনা, মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে, ওকাম্পোর রবীন্দ্রনাথ, ধূম লেগেছে হৃদকমলে, এ আমির আবরণ। জ্ঞানপীঠ, পদ্মভূষণ, দেশিকোত্তম, সাহিত্য অ্যাকাদেমি, রবীন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার সহ অজস্র সম্মানে তিনি ভূষিত হয়েছেন। শঙ্খবাবুর সাথে আমার অত্যন্ত সুসম্পর্ক ছিল। তাঁর প্রয়াণে সাহিত্য জগতের এক অপূরণীয় ক্ষতি হল। আমি প্রয়াত শঙ্খ ঘোষের আত্মীয় পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।'
এমনকী এদিন বালুরঘাটে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে মঞ্চ থেকেই প্রয়াত কবি শঙ্খ ঘোষের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জানান তিনি। মঞ্চে মমতা বলেন, 'আমরা মর্মাহত, দুঃখিত। শঙ্খদার মৃত্যুতে সকলে শোকজ্ঞাপন করছি।' একইসঙ্গে রাষ্ট্রীয় সম্মানে তাঁর শেষকৃত্য করা হবে বলেও জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
কবির পরিবার সূত্রে খবর গত ১২ তারিখ থেকেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। ১৪ তারিখ তাঁর করোনা পরীক্ষা করানো হয়। রিপোর্টে পজেটিভ আসে। তারপর থেকেই হোম আইসোলেশানে ছিলেন তিনি। তিনি হাসপাতালে ভর্তি হতে চাননি বলেই তাঁকে বাড়িতে রাখা হয়। তবে ক্রমাগতই শরীরে কমছিল অক্সিজেনের মাত্রা। অবশেষে এদিন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত কবির জন্ম ১৯৩২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের চাঁদপুরে। ১৯৫১ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে কলা বিভাগে স্নাতক হওয়ার পর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেক স্নাতকোত্তর পাশ করেন তিনি।