scorecardresearch
 

Omicron-কে হালকাভাবে নিচ্ছেন? ড্যামেজ হতে পারে এই অঙ্গগুলি, সমীক্ষায় প্রকাশ

সমীক্ষা জানাচ্ছে, হালকা সংক্রমণও শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ক্ষতি করতে পারে। এর জন্য ৪৫ থেকে ৭৪ বছর বয়সের মধ্যে SARS-CoV-2-এর কম উপসর্গযুক্ত ৪৪৩ জনের পরীক্ষা করা হয়। গবেষণার ফলাফলে দেখা গিয়েছে, সংক্রমিতদের মধ্যে বিনাসংক্রমিত মানুষের তুলনায় মধ্যম পর্যায়ের অর্গান ড্যামেজ রয়েছে।

Advertisement
প্রতীকী ছবি (সূত্র-গেটি) প্রতীকী ছবি (সূত্র-গেটি)
হাইলাইটস
  • ওমিক্রনেও রয়েছে অঙ্গ ড্যামেজের ঝুঁকি
  • সাম্প্রতিক সমীক্ষায় প্রকাশ
  • জানুন বিস্তারিত রিপোর্ট

ওমিক্রনকে (Omicron) মাইল্ড ইনফেকশান বা হালকা সংক্রমণের ভ্যারিয়ান্ট বলে অনেকেই বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন না। তবে এটি নিয়ে জার্মানির বিশেষজ্ঞরা রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ইউরোপিয়ান হার্ট জার্নালে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে, রোগীর মধ্যে উপসর্গ না থাকলেও দেহে করোনা সংক্রমণের প্রভাব থেকেই যায়। আর এটা এই জন্যই গুরুত্বপূর্ণ কারণ, গোটা বিশ্বে মূলত ওমিক্রনের উপসর্গহীন বা কম উপসর্গযুক্ত কেসই সামনে আসছে। 

সমীক্ষা জানাচ্ছে, হালকা সংক্রমণও শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ক্ষতি করতে পারে। এর জন্য ৪৫ থেকে ৭৪ বছর বয়সের মধ্যে SARS-CoV-2-এর কম উপসর্গযুক্ত ৪৪৩ জনের পরীক্ষা করা হয়। গবেষণার ফলাফলে দেখা গিয়েছে, সংক্রমিতদের মধ্যে বিনাসংক্রমিত মানুষের তুলনায় মধ্যম পর্যায়ের অর্গান ড্যামেজ রয়েছে। সমীক্ষার গবেষকরা একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ফুসফুসের কার্যকারিতা পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, সেটির ভলিউম ৩ শতাংশ কমে গিয়েছে এবং শ্বাসনালী সংক্রান্ত সমস্যাও রয়েছে। তাছাড়া, হার্টের পাম্পিং ক্ষমতাও গড়ে ১ থেকে ২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। অন্যদিকে রক্তে প্রোটিনের পরিমান ৪১ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে, যার থেকে হার্টের ওপরে চাপের বিষয়ে জানা গিয়েছে। 

অন্যদিকে 'লেগ ভেইন থ্রম্বোসিস'-এর সংকেত দুই থেকে তিন গুণ বেশি এবং কিডনির কার্যকারিতা প্রায় ২ শতাংশ কমতে দেখেছেন গেবষকরা। তবে মস্তিষ্কে কোনও খারাপ প্রভাব অবশ্য গবেষকরা দেখতে পাননি। 

সায়েন্টিফিক স্টাডি সেন্টারের পরিচালক রাফেল টোয়ারেনবোল্ড জানান, এটি তাঁদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, বিশেষত ওমিক্রমনের ক্ষেত্রে, কারণ সেটি হালকা উপসর্গযুক্ত রিপোর্ট দেয়। ইউকেই-এর হার্ট অ্যান্ড ভাস্কুলার সেন্টারের মেডিকেল ডিরেক্টর স্টিফেন ব্ল্যাঙ্কেনবার্গ বলেন, গবেষণার ফলাফল প্রাথমিক পর্যায়ে সম্ভাব্য ঝুঁকি বুঝতে সাহায্য করে, যাতে রোগীর চিকিৎসায় সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া যায়।

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, করোনার আগের ভ্যারিয়ান্ট মানুষের ফুসফুসে বেশি প্রভাব ফেলত। কিন্তু ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্টে ফুসফুসে কম প্রভাব পড়ে। এখানে শ্বাসকষ্ট এবং স্বাদ গন্ধ চলে যাওয়ার মতো উপসর্গও খুব বেশি দেখা যাচ্ছে না। তবে এটি ভাইরাসের সংক্রমণের গতি বাড়িতে দিতে পারে।  

Advertisement


 

Advertisement