ওমিক্রন (Omicron Variant) নিয়ে আতঙ্কের মাঝেই সামনে এল কিছুটা স্বস্তির খবর। বিখ্যাত চিকিৎসক ফাহিম ইউনুস তাঁর ট্যুইটার হ্যান্ডেলে কিছু তথ্য শেয়ার করেছেন যা স্বস্তির বার্তা বয়ে নিয়ে এসেছে। তিনি ওমিক্রনকে ডেল্টার চেয়ে কম ক্ষতিকারক হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় কোভিড ১৯-এ আক্রান্তদের ওপরে একটি সমীক্ষা চালান হয়। তাতে দেখা যায় ওমিক্রনে আক্রান্ত ৩১ শতাংশ রোগীর শ্বাসকষ্ট ছিল। কিন্তু ডেল্টায় আক্রান্তদের ৯১ শতাংশ রোগীর মধ্যেই শ্বাসকষ্টের লক্ষণ দেখা গিয়েছিল। তাছাড়া ডেল্টায় আক্রান্তদের প্রায় ৭ দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হত। কিন্তু ওমিক্রনে আক্রন্তদের ৩ দিনের বেশি হাসপাতালে রাখার প্রয়োজন পড়েনি।
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ডেল্টায় আক্রান্তদের ৬৯ শতাংশকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। কিন্তু ওমিক্রনে আক্রান্তদের মধ্যে মাত্র ৪১ শতাংশকেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরিসংখ্যান বলছে, ডেল্টায় (Delta Variant) আক্রান্তদের ৩০ শতাংশকে আইসিউতে ভর্তি করাতে হয়েছিল। কিন্তু ওমিক্রনের ক্ষেত্রে সেটার পরিমান ১৮ শতাংশ। পাশাপাশি ভেন্টিলেটরে রাখার ক্ষেত্রেও অনেকটা স্বস্তি দিয়েছে পরিসংখ্যান। ডেল্টায় আক্রান্তদের ১২ শতাংশকে ভেন্টিলেটরে রাখতে হয়েছিল। কিন্তু ওমিক্রনে আক্রান্ত মাত্র ১.৬ শতাংশ রোগী ভেন্টিলেটরে ছিলেন। ডেল্টায় মৃত্যুর হার ছিল ২৯ শতাংশ। আর ওমিক্রনে তা ৩ শতাংশ।
তবে ইউনুস জানিয়েছেন, এই সমীক্ষার কিছু সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। যেমন ওমিক্রন আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে যুবক-যুবতীরা ছিলেন। তাছাড়া এর আরও একটি কারণ হতে পারে ভ্যাকসিন (Covid Vaccine) থেকে তৈরি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। ডেল্টা গ্রুপে রোগীদের গড় বয়স ছিল ৫৯। আর ওমিক্রন গ্রুপের গড় বয়স ৩৬। তিনি আরও বলেন, ওমিক্রন গ্রুপের সিকোয়েন্সিং ডেটাও সেখানে ছিল না। প্রসঙ্গত ভারতে ভারতে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত ১,৭০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে।