রাজ্যে লাগাতার চলছে টিকাকরণ (Vaccination) কর্মসূচি। কিন্তু এখনও হুঁশ ফিরেনি বহু মানুষের। প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার পর চার মাস কেটে গেলেও দ্বিতীয় ডোজ (Vaccine Second Dose) নেননি অনেকেই। আর সেই ধরনের মানুষের সংখ্যাটাও নেহাত কম নয়। এবার সেটাই চিন্তার ভাঁজ ফেলল নবান্নের কর্তাদের কপালে। কলকাতা সহ রাজ্যের ৯ জেলায় এই প্রবণতা তুলনামূলক বেশি। তাই সেইসব জেলার তালিকা তৈরি করল নবান্ন। আর তালিকা তৈরির পরেই সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির প্রশাসনিক আধিকারিকদের নির্দেশ দিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
উল্লেখ্য, প্রথম ডোজ নেওয়ার পর যদি কেউ দ্বিতীয় ডোজ না নেন তবে সেটি ওভারডিউ হয়ে যায়। নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্যের ৯ জেলায় এই ওভারডিউর সংখ্যা কয়েক লক্ষ। যে জায়গাগুলিতে এই সংখ্যা সবচেয়ে বেশি তারমধ্যে প্রথমেই রয়েছে কলকাতা। এছাড়াও রয়েছে মালদহ, বীরভূম, কোচবিহার, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, হাওড়া, মুর্শিদাবাদ এবং উত্তর ২৪ পরগনা। এই জেলাগুলিতে নির্দিষ্ট সময়ের পরেও দ্বিতীয় ডোজ না নেওয়ার প্রবণতা অনেকটাই বেশি।
পরিসংখ্যান বলছে শুধুমাত্র কলকাতাতেই এখনও পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ নেননি ২ লক্ষ ৮২ হাজার মানুষ। অথচ কলকাতায় করোনার পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। ওভারডিউ সংখ্যার নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মালদা। সেখানে এখনও পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ নেননি ২ লক্ষ ১৪ হাজার মানুষ। তারপরে মুর্শিদাবাদ। সেখানে এই সংখ্যাটা ২ লক্ষ ১০ হাজার রয়েছে। এছাড়া অন্য জেলাগুলিতেও সংখ্যাটা লক্ষাধিক।
এই তথ্যই উদ্বেগ বাড়িয়েছে রাজ্য সরকারের। এর প্রেক্ষিতে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর নির্দেশ, অবিলম্বে কলকাতা সহ এই জেলাগুলিতে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করে ওভারডিউ-এর সংখ্যাটা কমাতে হবে। অন্যদিকে ইতিমধ্যেই গত সাতদিনে কলকাতা সহ যে জেলাগুলিতে সংক্রমণের পরিমান সবচেয়ে বেড়েছে তার একটা তালিকা তৈরি করা হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। আর এবার ওভারডিউ নিয়েও এই জেলাগুলিকে নির্দেশ দিল নবান্ন।