scorecardresearch
 

Monitor Lizard Raped : গোসাপকে গণধর্ষণ করে মোবাইলে ভিডিও রেকর্ড, মহারাষ্ট্রে ধৃত ৪

Monitor Lizard Raped : শুনতে অবাক লাগলেও মহারাষ্ট্রে এবার গোসাপকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। মহারাষ্ট্রের রত্নাগিরি জেলার সহ্যাদারি টাইগার রিজার্ভে গোসাপকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। এদের শিকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

Advertisement
গোসাপকে গণধর্ষণ। প্রতীকী ছবি গোসাপকে গণধর্ষণ। প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • গোসাপকে গণধর্ষণ করে মোবাইলে ভিডিও রেকর্ড
  • মহারাষ্ট্রে ধৃত ৪
  • জানুন বিস্তারিত তথ্য

Monitor Lizard Raped : কুকুর, গরু, ছাগলের পরে এবার গোসাপ। শুনতে অবাক লাগলেও মহারাষ্ট্রে এবার গোসাপকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। মহারাষ্ট্রের রত্নাগিরি জেলার সহ্যাদারি টাইগার রিজার্ভে গোসাপকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। এদের শিকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অভিযুক্তরা গোথানের গাভা এলাকায় টাইগার রিজার্ভের কোর জোনে ঢুকে পরে এই জঘন্য কাজটি করে বলে অভিযোগ। এখন প্রশ্ন উঠছে এই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোন ধারায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে? আসুন সংশ্লিষ্ট ধারা এবং তাদের শাস্তি সম্পর্কে জানি।

মোবাইল ফোনে রেকর্ড
রত্নাগিরি জেলার সহ্যাদারি টাইগার রিজার্ভে উপস্থিত গোসাপকে গণধর্ষণের অভিযোগে ধৃতের নাম সন্দীপ তুকারাম, পাওয়ার মঙ্গেশ, জনার্দন কামতেকার এবং অক্ষয় সুনীল হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মহারাষ্ট্র বন বিভাগ অভিযুক্তদের মোবাইল ফোন চেক করেই এই ঘটনার রেকর্ডিং পায়। কর্তৃপক্ষ ঘটনার একটি রেকর্ডিং খুঁজে পেয়েছে, যেখানে অভিযুক্তদের গোসাপকে গণধর্ষণ করতে দেখা গিয়েছে।

সাংলি ফরেস্ট রিজার্ভে নিযুক্ত বন কর্মকর্তারা সিসিটিভি ফুটেজের সাহায্যে অভিযুক্তকে খুঁজে বের করেছেন। সিসিটিভি ফুটেজে অভিযুক্তকে জঙ্গলে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। অফিসাররা জানিয়েছেন অভিযুক্তরা কোঙ্কন থেকে কোলহাপুরের চান্দোলি গ্রামে শিকারের জন্য এসেছিল। গোসাপকে ধর্ষণের এই ঘটনা সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।

বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইন

প্রসঙ্গত, গোসাপ বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইন ১৯৭২ এর অধীনে একটি সংরক্ষিত প্রজাতি। এ জন্য পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইন ১৯৭২-এ মামলা দায়ের করেছে। বন্যপ্রাণীর অবৈধ শিকার, মাংস ও চামড়ার অবৈধ ব্যবসা রোধ করার লক্ষ্যে ভারত সরকার ১৯৭২ সালে বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করেছিল। যার অধীনে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তির জন্য কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের নিয়ম রাখা হয়েছিল। কিন্তু এই আইনের খুব একটা সুবিধা কেউ পাচ্ছেন না। পরে ২০০২ সালে, এই আইনটি সংশোধন করা হয়েছিল।  এর নাম পরিবর্তন করে ভারতীয় বন্যপ্রাণী সুরক্ষা (সংশোধন) আইন ২০০২ করা হয়।

Advertisement

শাস্তির বিধান
ভারতীয় বন্যপ্রাণী সুরক্ষা (সংশোধন) আইন ২০০২-এর অধীনে, দোষীদের দেওয়া শাস্তি এবং তার উপর আরোপিত জরিমানা আরও কঠোর করা হয়েছে। এই আইনের অধীনে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তি কমপক্ষে ৩ বছর এবং সর্বোচ্চ ৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন। এর পাশাপাশি তাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানাও করা হতে পারে। অথবা দোষীদের উভয়ভাবেই শাস্তি হতে পারে।

Advertisement