ফের আতঙ্ক ছড়ালো সল্টলেকে। খোদ কাউন্সিলরের বাড়ির পাশেই খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হল। কাউন্সিলরের বাড়ির পাশেই খুন হলেন বয়স্ক দম্পতি। বুধবার সকালে সেক্টর ৩-এর জিসি ৩০-এ এই খুনের ঘটনা ঘটে। এই বাড়ি থেকে ৭৮ বছরের অবসরপ্রাপ্ত আর্মি চিকিৎসক যদুনাথ মিত্রের সজ্ঞাহীন দেহ ও তাঁর স্ত্রী ৭০ বছরের মন্দিরা মিত্রর রক্তাক্ত দেহ মেলে। দেহের পাশ থেকে মিলেছে রক্তমাখা ছুরি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় যদুনাথ মিত্রকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে পরিচারিকা এসে কারোর কোনও সাড়া না পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় দরজা ভেঙে মন্দিরা মিত্রের দেহ উদ্ধার করা হয়। চিকিৎসকের সজ্ঞাহীন দেহ পড়েছিল বসার ঘরে, তাঁর স্ত্রীর দেহ শৌচাগারে পড়েছিল। এই বৃদ্ধ দম্পতির বাড়ির পাশেই থাকতেন বিধাননগরের ৩৯ নম্বরের কাউন্সিলর রাজেশ চিরিমার। ঘটনাস্থলে আসে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ।
পুলিশ বাড়ি থেকে একটি চিঠি উদ্ধার করেছেন। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, যদুনাথ মিত্র তাঁর স্ত্রী মন্দিরাদেবীকে খুন করে নিজে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন। স্থানীয় প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন যে চিকিৎসক দম্পতি আগে বহরমপুরে থাকতেন, এরপর সল্টলেকে চলে আসেন। ডাক্তার মিত্র আর্মির রিটায়ার্ড আই সার্জন। প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল ছিল এবং তাঁরা খুব শান্তিপূর্ণ দম্পতি ছিলেন বলেই জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা। ৭০ বছরের মন্দিরার গলায় কাটা দাগ পাওয়া গিয়েছে, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা ছুরি ও অ্যাসিডের বোতল উদ্ধার করেছে।
দক্ষিণ থানার পুলিশ ছাড়াও ঘটনাস্থলে আসে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার গৌরব শর্মা ও মন্ত্রী সুজিত বসু। এটা আত্মহত্যা নাকি এই খুনের ঘটনার পিছনে অন্য কোনও রহস্য লুকিয়ে খতিয়ে দেখছে পুলিশ। গৌরব শর্মা জানিয়ছেন যে উদ্ধার হওয়া চিঠিতে যদুনাথ মিত্র স্বীকার করেছেন যে তিনি তাঁর স্ত্রীকে খুন করেছেন। পুলিশের অনুমান তিনি নিজে অ্যাসিড খেয়ে থাকতে পারেন। সুজিত বসু জানান, ঘরের ভেতর থেকে রক্তাক্ত ছুরি ও একটি চিঠি উদ্ধার হয়েছে। তবে মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়