যুবতীর বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল কলকাতার (Kolkata) একবালপুরে। জানা গেছে বুধবার রাতে দেহটি উদ্ধার হয় একবালপুরের এম এম আলি রোডে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় একবালপুর থানার পুলিশ। মৃতের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্য়েই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এদিকে বৃহস্পতিবার এলাকায় পৌঁছায় লালবাজারের (Lalbazar) হোমিসাইড শাখা ও স্নিফার ডগ। ঘুরে দেখে ঘটনাস্থল।
পুলিশ সূত্রে খবর, যুবতীর পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে তাঁর কোনও প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল কি না, কাদের সঙ্গে তিনি মেলামেশা করতেন এবং কোন কোন জায়গায় তাঁর যাতায়াত ছিল, সবই খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এদিকে দেহ পাঠান হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। সেক্ষেত্রের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পরেই জানা যাবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ। এমনকি মৃত্যুর আগে তাঁর ওপর শারীরিক অত্যাচার চালানো হয়েছিল কি না তাও জানা যাবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পরেই।
এর আগেও শহর কলকাতায় নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছ। কখনও খুন, কখনও বা ধর্ষণ। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পদক্ষেপও করেছে পুলিশ। এই যেমন, এক নাবালিকাকে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণের অভিযোগে এক ট্যাক্সিচালককে মঙ্গলবার গ্রেফতার করে হরিদেবপুর থানার পুলিশ। এদিন নাবালিকা হঠৎ অসুস্থ হয়ে পড়াতেই ঘটনার কথা জানতে পারে তার পরিবার। তারপরেই হরিদেবপুর থানায় অভিযোগ জানান পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ট্যাক্সি চালক মুকেশ মণ্ডলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু এতকিছুর পরেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না মহিলাদের ওপরে অপরাধ। যার জেরে মাঝেমধ্যেই রাজ্যে নারী নির্যাতন নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন বিরোধীরা।