হরিদেবপুর যুবক খুনকাণ্ডে সময় যত এগোচ্ছে ততই উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। অয়ন মণ্ডলের (Haridevpur Ayan Mondal) খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে ত্রিকোণ প্রেমের তত্ব। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত অয়নের বান্ধবী-সহ মোট ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে ২ জন নাবালক। বাকিদের ৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এদিকে অয়ন মণ্ডলের খুনের ঘটনায় বেশকিছু বিষয় নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা কাটেনি। তারমধ্যে অন্যতম হল, দশমীর সেই রাতে ঠিক কী ঘটেছিল হরিদেবপুরে অয়নের বান্ধবীর বাড়িতে। এই প্রসঙ্গে অয়নের বন্ধু রাজু প্রামাণিকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে আজতক বাংলা। শেষবার এই রাজু প্রামাণিকের সঙ্গেই ফোনে কথা হয় অয়নের। আজতক বাংলাকে রাজু জানান, 'অয়ন সবসময়ই মেয়েটির বাড়িতে যেত। রোজের মতো সেদিনও গিয়েছিল। রাত্রি দেড়টা নাগাদ ফোন করে কাঁদছিল। বলছিল মেয়েটার মা নাকি ওর মুখে ঘুঁসি মেরেছে। আমি পাড়ার বন্ধুবান্ধবদের বলি। আমরা ওকে নিয়ে আসতে যাব বলেছিলাম। ও বলেছিল তোদের পায়ে ধরছি তোরা আসবি না। ঝামেলা হবে। তোরা থাক আমি চলে আসব। তারপরেও ফোন করে। আমি বললাম তুই কোথায়? বললো, ওর বাড়িতেই আছি। বললাম, তুই আসবি না? বললো একটু পর আসছি। বলে ফোন কেটে দিল।'
রাজুর সঙ্গে ফোনে সেই কথপোকথনের আর অয়নের সঙ্গে কারও যোগাযোগ হয়নি। পরের দিন সকালে শোনা যায় অয়নের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট থেকে উদ্ধার হয় অয়নের দেহ। এই ঘটনায় বান্ধবীর মায়ের সঙ্গেও অয়নের সম্পর্ক ছিল বলে জানা যাচ্ছে। এই বিষয়ে অয়নের বন্ধু রাজু প্রামাণিকের দাবি, 'মেয়েটির মা অয়নকে ফোন করে বাড়িতে ডাকত। মেয়েটির মায়ের অয়নের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক ছিল। মেয়ে ও মা দুজনের সঙ্গেই সম্পর্ক ছিল। আমরা এটা বিশ্বাস করি। কারণ মেয়েটির মা ফোন করে বারবার ডাকত। আর আমরা সেটা জানতাম।'
পুলিশ সূত্রে খবর, বিজয়া দশমীর রাতে বান্ধবীর বাড়িতেই কোনও ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয় অয়নকে। খুনের পর দেহ লোপাট করতে গাড়ি ভাড়া করা হয়। প্রথমে গাড়ি চালককে জিনিসপত্র এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ডাকা হয়। তবে গাড়িতে মৃতদেহ তোলা হচ্ছে বুঝতে পেরে চালক তা নিয়ে যেতে রাজি হয়নি। পরে অবশ্য মোটা টাকার প্রলোভন দিয়ে তাকে রাজি করানো হয়। এরপরেই সেই গাড়িতেই দেহ পাচার করা হয়।
আরও পড়ুন - মেয়ের প্রেমিককে কাটারি-বাঁশ দিয়ে খুন মা-বাবার, আতঙ্ক চুঁচুড়ায়