নিখোঁজ টোটো মিস্ত্রির দেহ উদ্ধার হয়েছিল দিন কয়েক আগে। পরিবারের অভিযোগ ছিল, তাঁদের ছেলেকে খুন করা হয়েছে। তবে সেই অভিযোগ নিতে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। মালদা (Malda)-র কালিয়াচক (Kaliachak)-এর ঘটনা।
তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন সেখানকার প্রাক্তন বিধায়ক ইশা খান চৌধুরী। ওই যুবক যে গ্রামে থাকতেন, সেটা আসিফের গ্রাম। সেই আসিফ যে নিজের পরিবারের ৪ জনকে খুন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, মালদা (Malda)-র কালিয়াচক (Kaliachak)-এর ১ নম্বর ব্লকের আলিপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মারুয়াবাদি গ্রামের ঘটনা। সেখানকার ২৩ বছরের টোটো মিস্ত্রি আলিউল মোমিন জুন মাসের ২১ তারিখে নিখোঁজ হন।
তার পর দিন অর্থাৎ ২২ তারিখ সুলতানগঞ্জ রেললাইন সংলগ্ন এলাকায় মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। মর্মান্তিক এই ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। ছেলে হারানো পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন ও আত্মীয়-পরিজনদের সান্ত্বনা দিতে এলাকায় হাজির হন প্রাক্তন বিধায়ক ইশা খান চৌধুরী।
শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে দাবি পরিবারের সদস্যদের। আর তাই তাঁর পরিবারের দাবি আলিউলকে খুন করা হয়েছে। তবে কেন তাঁকে খুন করা হয়েছে, সে ব্য়াপারে কারও কোনও ধারণা নেই।
এরপর আলিউল মমিনের পরিবার কালিয়াচক থানা ও মালদা জিআরপি থানার কাছে বারবার যায়। তবে অভিযোগ, নানা ভাবে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের কথা গুরুত্ব দিয়ে শোনা হয়নি বলেও অভিযোগ করা হয়েছে পরিবারের তরফে।
এই ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক ঈশা খান চৌধুরী। মৃতের পরিবারের সঙ্গে এমন টালবাহানা প্রশাসনের নির্লজ্জতাকে প্রকাশ করে। এমনই অভিযোগ করেছেন তিনি।
এদিন মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ ছিলেন। নিহত ওই যুবকের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন। এর পাশাপাশি সঠিক তদন্তের জন্য প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন।
এদিকে, মালদার কালিয়াচকে নিজের পরিবারকে হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত আসিফের গ্রামে উদ্ধার এক যুবকের রক্তাক্ত দেহ। মৃত যুবকের নাম আলিউল মোমিন। পেশায় ওই যুবক পেশায় টোটোচালক। তার মাথায় ও গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।