উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়া এলাকা থেকে এক যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হল। দেহটি রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। জানা গিয়েছে, যুবককে তার প্রেমিকার পরিবারের লোকজন পিটিয়ে খুন করেছে বলে অভিযোগ। তার আগে তাকে আটকে রেখে মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। মুক্তিপণ দিতে না পারাতেই খুন বলে যুবকের বাবা রায়গঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই প্রেমিকের নাম নওশাদ আলি, বয়স ২৩ বছর। বাড়ির রায়গঞ্জ থানার বিন্দোল এলাকায়। তিনি বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি নার্সিং কলেজের এমএসসি নার্সিংয়ের পড়ুয়া ছিলেন। অভিযোগ, চলতি মাসের ১২ তারিখে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। রাত হয়ে গেলেও ছেলে না ফেরায় ফোন করেন বাবা। সেই ফোনেই ছেলের আর্তনাদ শোনা যায়। বাবার কাছে প্রাণ বাঁচানোর আর্জি জানায় ছেলে। এরপর মেয়ের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা ৪ লক্ষ টাকা দাবি করে। সেই টাকা দিতে পারেনি যুবকের পরিবার।
এরপর ওই যুবককে করণদিঘি থেকে প্রেমিকার মামার বাড়ি গোয়ালপোখরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে মারধর করা হয় বলে খবর। সেখান থেকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে পূর্ণিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। অভিযোগ এরপর মৃতদেহ লোপাট করার চেষ্টা করে যুবতীর পরিবারের লোকজন। বিহারের একটি অ্যাম্বুল্যান্স করে কিশনগঞ্জে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বৃহস্পতিবার রাতে ছেলের পরিবারের লোকেরা নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের থেকে সমস্ত বিষয়ে জানতে পেরে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে। এদিন চাকুলিয়া এলাকা থেকে অ্যাম্বুল্যান্স সহ ওই যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে।
মৃতের বাবা বলেন, ‘এই ঘটনায় আমার ছেলের প্রেমিকা, তার বাবা হাবিবুর রহমান, ও তার দুই মামা মিরাজুল আহমেদ ও আমিরুল আহমেদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আমি চাই অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।‘ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রেমঘটিত কারণে অথবা দুজনের সম্পর্কের অবনতির কারণে ওই যুবক খুন হতে পারে। রায়গঞ্জ থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট নয়।