scorecardresearch
 

রক্তারক্তি নদিয়ায়! বাবাকে খুন ছেলের, ভাইয়ে-ভাইয়ে কোপাকুপি

পেশায় কৃষক সুখচাঁদ সর্দারের ছেলে নকুল সর্দার বেকার। কিন্তু ইতিমধ্যেই মদের নেশায় আসক্ত সে। শনিবার রাতেও নেশা করে বাড়িতে ফেরে নকুল। সেই সময় বাবার সঙ্গে সাংসারিক বিষয় নিয়ে শুরু হয় বসচা। অভিযোগ, এরপরেই কাস্তে গিয়ে কুপিয়ে বাবাকে খুন করে নকুল। এমনকী বাবাকে বাড়েতেই কবর দেবে বলেও হুঁশিয়ারি দেয় সে। ভয়ে কেউ নকুলের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেননি। এরপর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। 

Advertisement
ছেলের হাতে বাবা খুন ছেলের হাতে বাবা খুন
হাইলাইটস
  • কৃষ্ণনগরে ছেলের হাতে বাবা খুন
  • পলাতক অভিযুক্ত ছেলে
  • পলাশিপাড়ায় ভাইকে কোপাল ভাই

মদ্যপ অবস্থায় বাবাকে কুপিয়ে খুন করল ছেলে। নদিয়ার কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত স্বরডাঙ্গা গ্রামের ঘটনা। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত ছেলে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নদিয়ার কোতয়ালি থানার পুলিশ। 

জানা গিয়েছে, পেশায় কৃষক সুখচাঁদ সর্দারের ছেলে নকুল সর্দার বেকার। কিন্তু ইতিমধ্যেই মদের নেশায় আসক্ত সে। শনিবার রাতেও নেশা করে বাড়িতে ফেরে নকুল। সেই সময় বাবার সঙ্গে সাংসারিক বিষয় নিয়ে শুরু হয় বসচা। অভিযোগ, এরপরেই কাস্তে গিয়ে কুপিয়ে বাবাকে খুন করে নকুল। এমনকী বাবাকে বাড়েতেই কবর দেবে বলেও হুঁশিয়ারি দেয় সে। ভয়ে কেউ নকুলের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেননি। এরপর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। 

এদিকে নকুল পালিয়ে যেতেই রক্তাক্ত অবস্থায় কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সুখচাঁদ সর্দারকে। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। অভিযুক্ত ছেলের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন পরিবারের সদস্য ও পাড়া প্রতিবেশীরা।

অন্যদিকে, পুরনো জমি বিবাদ নিয়ে ভাইয়ে ভাইয়ে কোপাকুপি নদিয়ার পলাশিপাড়ার অভয়নগরে। জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে জমি নিয়ে বিবাদ লাগে বাদশা মণ্ডল ও মহিদুল মণ্ডলের মধ্যে। বাদশা ও মহিদুল সম্পর্কে দুই ভাই। অভিযোগ, বিবাদ চরমে পৌঁছলে বাদশা, তার স্ত্রী ও দই ছেলে মিলে মহিদুল ও তাঁর স্ত্রী সাবান মণ্ডলের ওপরে হামলা চালায়। ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপান হয় তাঁদের। মহিদুলের মাথায় কোপ মারা হয়। সাবানারও শরীরে বেশকিছু আঘাত লাগে। 

গুরুতর আবত অবস্থায় প্রথমে তাঁদের বেথুয়াডহরি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁদের। এই বিষয়ে পুলিশের দ্বারস্থন হচ্ছেন তাঁরা। 


 

Advertisement

Advertisement