scorecardresearch
 

কয়লা থেকে গরু পাচারকাণ্ড, কেন কালো টাকার 'সেফ হেভেন' দুবাই

রাজ্য়ে বিধানসভা নির্বাচনের আগে কয়লা থেকে গরুপাচার কাণ্ডের কিংপিনদের ধরতে উদ্য়োগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কলকাতা সহ-রাজ্য়ে ১২ টি জায়গায় তল্লাশি করেছে ইডি। সূত্রে খবর, যাদের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে কয়লা পাচারের অভিযোগ,তাদের কারও কারও দুবাইযোগ পাওয়া গিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি সুইস ব্যাঙ্কের বদলে এবার কালো টাকার 'সেফ হেভেন' দুবাই ?

Advertisement
টাকা যখন চিন্তার কারণ টাকা যখন চিন্তার কারণ
হাইলাইটস
  • কলকাতা সহ-রাজ্য়ে ১২ টি জায়গায় তল্লাশি করেছে ইডি।
  • যাদের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে কয়লা পাচারের অভিযোগ,তাদের কারও কারও দুবাইযোগ পাওয়া গিয়েছে।
  • প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি সুইস ব্যাঙ্কের বদলে এবার কালো টাকার 'সেফ হেভেন' দুবাই ?

রাজ্য়ে বিধানসভা নির্বাচনের আগে কয়লা থেকে গরুপাচার কাণ্ডের কিংপিনদের ধরতে উদ্য়োগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কলকাতা সহ-রাজ্য়ে ১২ টি জায়গায় তল্লাশি করেছে ইডি। সূত্রে খবর, যাদের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে কয়লা পাচারের অভিযোগ,তাদের কারও কারও দুবাইযোগ পাওয়া গিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি সুইস ব্যাঙ্কের বদলে এবার কালো টাকার 'সেফ হেভেন' দুবাই ?

রাজ্য় রাজনীতির সাম্প্রতিক অতীত বলছে, ভোটের আগে গরু-কয়লা পাচার নিয়ে সক্রিয় হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কয়লা পাচারকাণ্ডে বিরোধীদের তোপের মুখে পড়েছেন তৃণমূলের সাংসদ অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। অভিষেক ঘনিষ্ঠ বিনয় মিশ্রের বাড়িতে তল্লাশির পর এবার বিনয় ঘনিষ্ঠদের বাড়িতেও শুরু হয়েছে হানা।

দিলীপ ঘোষ '২ বছরের শস্য ফ্রি', দিদির দাবি ওড়ালেন দিলীপ

সম্প্রতি গড়িয়ার একটি ফ্ল্য়াটে হানা দেন ইডির আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, অভিয়ুক্ত ব্যবসায়ী ওই ফ্ল্য়াটে থাকতেন। সূত্রের খবর, তাঁর বাবা ইসিএল-এর কর্মী।  এই দুজনের নামই কয়লা পাচারে জড়িত থাকার কথা উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, ইসিএল-এর কিছু কর্মীদের কাজে লাগিয়েই এই কারবার করত তারা। তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় সংস্থার জেরার মুখে তা জানিয়েছে ইসিএল-এর বেশ কয়েকজন কর্মী। তাদের জেরা করেই উঠে এসেছে গড়িয়ার ওই বাড়ির বাসিন্দাদের নাম। সূত্রের খবর, দুবাইতে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল ওই ব্যক্তির। হাওলার মাধ্য়মে টাকা পাঠানো হত দুবাইতে। পরে দুবাইয়ের হোটেল ব্য়বাসায় খাটত সেই টাকা।

'রবীন্দ্রনাথ নয় ঠগেন্দ্রনাথ', মোদীকে 'কুকথা' সৌগতর

জানা গিয়েছে, গড়িয়ার ফ্ল্য়াটে হানা দিয়ে মালাকার পদবির ওই অভিযুক্তদের পাননি তদন্তকারী আধিকারিকরা। প্রতিবেশীরা জানান, পুজোর পর থেকেই ওই বাড়িতে আর আসেন না তাঁরা। যদিও স্থানীয়দের দাবি, বাইরে থেকে প্রায়শই পার্সেল আসত বাড়িতে। সেভাবে লোকের সঙ্গে মিশতেন না তারা। 

Advertisement

ইডি সূত্রে খবর, দুবাইয়ে রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ করত অভিযুক্তরা। গড়িয়ার নারকেল বাগান থেকে যে কয়লা পাচারের এত বড় জাল কাজ করে,তা টের পাননি অনেকেই। তবে শুধু গড়িয়ায় নয়, হুগলির কোন্নগরে হানা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেখানে বিনয় মিশ্র ঘনিষ্ঠ নীরজ ও অমিত সিংয়ের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। সেখানে আগেই সিবিআই-এর আধিকারিকরা অভিযান চালিয়েছিলেন। তাদের হাতে বেশকিছু তথ্য় এসেছে। আসলে বিনয় ও নীরজ সম্পর্কে ভাই। 

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, হাওলার মাধ্য়মে কালো টাকা বিদেশে পাঠানো হয়েছে। অতীতে কালো টাকার 'সেফ হেভেন' ছিল সুইস ব্যাঙ্ক। ভারতের সঙ্গে ট্রিটি না থাকায় কালো টাকা গচ্ছিত আছে জেনেও কিছু করার ছিল না। কিন্তু পরিস্থিতি বদলেছে, মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রকাশ্য় এনেছে সুইস ব্যাঙ্কে গচ্ছিত ভারতীয়দের বহু অ্যাকাউন্ট। যার ফলে চিন্তা বেড়েছে কালো টাকার কারবারীদের। তাই সুইস ব্যাঙ্কের বদলে এখন তাদের ফার্স্ট চয়েস ডেস্টিনেশন দুবাই। এখানকার হোটেল বা রিয়েল এস্টেট বিজনেসে টাকা খাটাচ্ছেন কালো টাকার কারবারীরা। লোকসভার নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের কালো টাকা উদ্ধার করা গেলে ,প্রত্যেক ভারতীয়ের অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা আসা সম্ভব। যা নিয়ে বিরোধীরা মোদী সরকারকে বিঁধতে বাকি রাখে না। এখন দেখা যাচ্ছে, সুইজারল্যান্ডের পরিবর্তে দুবাই কালো টাকার 'সেফ হেভেন'। 


Advertisement