বৃদ্ধার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল বাঙুর এলাকায়। ফ্ল্যাটের মধ্যে প্রথম দেহটি পড়ে থাকতে দেখেন মৃতার ছেলে ও তাঁর নাতি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। ঘর থেকে বেশকিছু সামগ্রী লুঠপাট করা হয়েছে বলে মৃতার পরিবারের দাবি। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বাঙুর এলাকার একটি ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন দীপা মুখোপাধ্যায় নামে ওই বৃদ্ধা। বুধবার বিকেলে ফ্ল্যাটে যান বৃদ্ধার ছেলে ও নাতি। কিন্তু অনেকক্ষণ ডাকাডাকির পরেও কোনও সাড়া মেলেনি। ফোনও সুইচড অফ শোনাচ্ছিল। সন্দেহ হওয়ায় ফ্ল্যটের দরজা ঠেলেন তাঁরা। দরজা ঠেলতেই খুলে যায় সেটি। ভিতরে গিয়ে দেখেন খাটের ওপরে পড়ে রয়েছে বৃদ্ধার দেহ। গলায় পেঁচানো রয়েছে গামচা। ঘরের দুটি আলমারিই ভাঙা।
সূত্রের খবর, ২ বছর আগে মুম্বইতে গিয়েছিলেন ওই বৃদ্ধা। সেই সময় এক যুবকর সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। সেই যুবককে নিজের বাড়িতে পরিচারকের কাজ করার জন্য বলেছিলেন তিনি। দিন কয়েক আগে সেই যুবক তাঁর বাড়িতে পরিচারকের কাজ শুরু করে। যদিও এদিন ফ্ল্যাটে গিয়ে তাকে দেখতে পাননি বৃদ্ধার ছেলে ও নাতি।
বৃদ্ধার ছেলে জানাচ্ছেন, দুদিন ধরে ফ্ল্যাটের জানলা খোলা দেখে প্রতিবেশীদের তরফে তাঁকে খবর দেওয়া হয়। তারপর এদিন ফ্ল্যাটে যান তিনি। বৃদ্ধার ছেলের অভিযোগ, টাকার লোভেই খুন করা হয়েছে তাঁর মা-কে। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠান হয়েছে। গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। ওই যুবকের খোঁজেও শুর হয়েছে তল্লাশি।