২১শে জুলাইয়ের ভার্চুয়াল সভার মঞ্চ থেকে পেগাসাস স্পাইওয়্যার (Pegasus Spyware) ইস্যুতে তীব্র আক্রমণ শানালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী সুপ্রিম কোর্টের কাছে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়েরেরও আবেদন জানান তিনি। এরপরেই ফোনে ট্যাপকাণ্ডে পালটা মমতাকে বিঁধলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বিজেপির রাজ্য সভাপতির পালটা অভিযোগ, "ফোন ট্যাপ করা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভ্যাস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পেগাসাস ব্যবহার করেন। ফোন ট্যাপ করা কংগ্রেসের সংস্কৃতি। ইন্দিরা গান্ধীও করতেন।"
দিলীপ আরও প্রশ্ন তোলেন, "তৃণমূলের নেতানেত্রীরা কেন শুধু হোয়াটসঅ্যাপেই কথা বলেন?" ফোনে আঁড়িপাতা হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে একবার মুকুল রায়ও আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বলে জানান দিলীপ। এক্ষেত্রে সংসদ অধিবেশনের জন্য তৃণমূলের একটি বিষয় চাই, তাই তারা এই ধরনের কথা বলছেন বলে দাবি বিজেপির রাজ্য সভাপতির।
প্রসঙ্গত ২১ জুলাইয়ের (21 July) সভামঞ্চ থেকে বেশকিছু বিষয়ে বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্যের একটা বড় অংশ জুড়ে ছিল পেগাসাস স্পাইওয়্যারের ইস্যু। রাহুল গান্ধী, প্রশান্ত কিশোর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোন ট্যাপ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে নিজের মোবাইলটিও দেখান মমতা। দেখা যায় টেপ দিয়ে নিজের ফোনের ক্যামেরা ঢেকে দিয়েছেন তিনি।
তৃণমূল নেত্রী বলেন, "আমার ফোন ট্যাপ হচ্ছে। রেকর্ড করা হচ্ছে। আমার ফোনের ক্যামেরা ঢেকে দিতে হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ধ্বংস করছে বিজেপি। একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছে।" কার্যত ফোন ট্যাপের আশঙ্কায়, পি চিদম্বরম, শরদ পাওয়ার, বা ওডিশা, দিল্লি, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে তিনি কথা বলতে পারেন বলেও জানান মমতা (Mamata Banerjee)। এক্ষেত্রে গরীবদের টাকা দেওয়ার পরিবর্তে গুপ্তচরবৃত্তিতে টাকা খরচ করা হচ্ছে বলেই অভিযোগ করেন তৃণমূল নেত্রী।