scorecardresearch
 

পাঁচিল নিয়ে বিবাদ, চুঁচুড়ায় প্রতিবেশীর হাতে খুন প্রৌঢ়

মহাদেব হালদার নামে ওই প্রৌঢ়ের সঙ্গে বিগত বেশ কয়েকবছর ধরেই বিবাদ ছিল প্রতিবেশী স্বপন হালদারের। অভিযোগ, বছর ছয়েক আগে মহাদেববাবুকে বাড়ি ছাড়া করে স্বপন। মাস দেড়েক আগে বাড়িতে ফেরেন তিনি। তারপর থেকে প্রায়শই পাঁচিল দেওয়া নিয়ে বচসা হত উভয়ের মধ্যে। মহাদেববাবুর দাবি ছিল, তাঁর এলাকায় পাঁচিল দিয়েছে স্বপন।

Advertisement
প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • প্রতিবেশীর হাতে খুন প্রৌঢ়
  • পরে আত্মসমর্পণ অভিযুক্তের
  • তদন্তে চুঁচুড়া থানার পুলিশ

সম্পত্তি বিবাদের জের। প্রতিবেশীর হাতে নৃশংস ভাবে খুন প্রৌঢ়। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির চুঁচুড়ার রবীন্দ্রনগর (Rabindra Nagar Chinsurah) এলাকায়। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। এদিকে ইতিমধ্যেই আত্মসমর্পণ করেছে অভিযুক্ত। ঘটনার জেরে ইতিমধ্যেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। অপরাধীর ফাঁসির দাবি জানিয়েছে মৃতের ছেলে। 

জানা গিয়েছে মহাদেব হালদার নামে ওই প্রৌঢ়ের সঙ্গে বিগত বেশ কয়েকবছর ধরেই বিবাদ ছিল প্রতিবেশী স্বপন হালদারের। অভিযোগ, বছর ছয়েক আগে মহাদেববাবুকে বাড়ি ছাড়া করে স্বপন। মাস দেড়েক আগে বাড়িতে ফেরেন তিনি। তারপর থেকে প্রায়শই পাঁচিল দেওয়া নিয়ে বচসা হত উভয়ের মধ্যে। মহাদেববাবুর দাবি ছিল, তাঁর এলাকায় পাঁচিল দিয়েছে স্বপন।

বুধবার সকালেও স্বপন হালদারকে সেই পাঁচিল নিয়ে আপত্তি জানান মহাদেব হালদার। অভিযোগ, তারপরেই হঠাৎ কাটারি নিয়ে মহাদেববাবুর ওপর হামলা চালায় স্বপন। মহাদেববাবুর ঘাড়ে কোপ মারে সে। কাটারির আঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। এরপরেই তদন্তে নামেন পুলিশ আধিকারিকরা। যদিও অভিযুক্ত স্বপন হালদার ইতিমধ্যেই আত্মসমর্পণ করেছে। 

প্রসঙ্গত বেশকিছু বছর আগে দুষ্কৃতী সংঘর্ষের জেরে কয়েকবার উত্তপ্ত হয় ওই এলাকা। তারপর থেকে একপ্রকার শান্তই ছিল চুঁচুড়ার রবীন্দ্রনগর। কিন্তু বুধবারের এই ঘটনায় নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। দোষীর ফাঁসির দাবি জানিয়েছে নিহতের পরিবার। গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। 

 

Advertisement