scorecardresearch
 

শিশু পাচারের অভিযোগে ধৃত বাঁকুড়ার স্কুলের অধ্যক্ষ

সোমবার জহর নবোদয় বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ কমল কুমার রাজোরিয়া জোর করে দুটি শিশুকে একটি গাড়িত তোলার চেষ্টা করছিলেন। বিষয়টি নজরে আসে স্থানীয়দের। এরপর এলাকার মানুষই ওই গাড়িটিকে ঘিরে ধরলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান অধ্যক্ষ কমল কুমার রাজোরিয়া। মারুতি ভ্যান থেকে উদ্ধার করা হয় চার শিশু ও দুই মহিলাকে। পরে অধ্যক্ষ ও স্কুলের এক শিক্ষিকা সহ মোট ৮ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। 

Advertisement
ধৃত অধ্য়ক্ষ ধৃত অধ্য়ক্ষ
হাইলাইটস
  • মোটা টাকার বিনিময়ে শিশু বিক্রির অভিযোগ
  • বাঁকুড়ায় স্কুলের অধ্যক্ষ সহ ধৃত ৮
  • এখনও পর্যন্ত উদ্ধার ৫ শিশু

শিশু বিক্রি ও পাচারের (Child Trafficking) চেষ্টার অভিযোগে স্কুলের অধ্যক্ষ ও এক শিক্ষিকা সহ মোট ৮ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার (Bankura) কালপাথর এলাকায়। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৫ শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া শিশুদের মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। এই চক্রে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 

অভিযোগ, সোমবার জহর নবোদয় বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ কমল কুমার রাজোরিয়া জোর করে দুটি শিশুকে একটি গাড়িত তোলার চেষ্টা করছিলেন। বিষয়টি নজরে আসে স্থানীয়দের। এরপর এলাকার মানুষই ওই গাড়িটিকে ঘিরে ধরলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান অধ্যক্ষ কমল কুমার রাজোরিয়া। মারুতি ভ্যান থেকে উদ্ধার করা হয় চার শিশু ও দুই মহিলাকে। পরে অধ্যক্ষ ও স্কুলের এক শিক্ষিকা সহ মোট ৮ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। 

পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত অধ্যক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে তদন্তকারীদের হাতে। জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরের মেইনগেট ও কাদারোড এলাকা থেকে শিশুদের কিনে এনে রাজস্থান সহ বিভিন্ন জায়গায় পাচার করার পরিকল্পনা ছিল অধ্যক্ষের। এমনকী সপ্তাহ খানেক আগে এই ভাবেই ৯ মাসের একটি শিশুকে কাদারোড এলাকা থেকে এনে জহর নবোদয় স্কুলের এক নিঃসন্তান শিক্ষিকা সুষমা শর্মাকে তিনি বিক্রি করেছিলেন বলেও জানতে পেরেছে পুলিশ। তাছাড়া আরও দুটি শিশুকে একই ভাবে বিক্রির উদ্দেশ্যে সম্প্রতি স্কুল চত্বরে থাকা অধ্যক্ষর কোয়ার্টারে এনে রাখা হয় বলে অভিযোগ । 

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান নিঃসন্তান দম্পতিদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকায় বিনিময়েই এই শিশু বিক্রির জাল বুনেছিলেন ওই অধ্যক্ষ। শিশুগুলিকে যৌন হেনস্থা করা হয়েছে কি না তা জানতে তাদের মেডিক্যাল পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি এই চক্রে আরও কেউ যুক্ত রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

 

Advertisement