Falakata Son Murders Own Mother:মুম্বইয়ের মীরা রোডের নৃশংস খুন নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ, তারই মধ্যে এবার মাকে খুন করে সেপটিক ট্যাঙ্কে ঢুকিয়ে রাখার মতো মর্মান্তিক ও নৃশংস ঘটনার হদিশ মিলল খোদ বাংলায়। জলপাইগুড়ির ফালাকাটায় এই ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদেই মাকে খুন করেছে ছেলে ও পুত্রবধূ। ঘটনায় ছেলে ও পুত্রবধূকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ ভরা বাজারে দাঁড়িয়ে নিজের গলা কেটে ফেলল যুবক, আতঙ্ক জলপাইগুড়িতে
আরও পড়ুনঃ এক কেজির দাম আড়াই লাখ, সেই আমের সঙ্গে সেলফির হিড়িক শিলিগুড়িতে
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে ফালাকাটা শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের দেশবন্ধুপাড়ায়। সম্পত্তি লিখে না দেওয়াতেই স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে বৃদ্ধা মা’কে হত্যা করেছে ছেলে। হত্যার পর দেহটি ফেলে দেওয়া হয় সেপটিক ট্যাংকে। শনিবার সকালে বৃদ্ধার দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। খুনে অভিযুক্ত ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে ফালাকাটা থানার পুলিশ। আটক করা হয়েছে ধৃতের স্ত্রীকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকমাস ধরেই পারিবারিক সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য মা মায়া চট্টোপাধ্যায় চাপ দিচ্ছিলেন তাঁর ছেলে বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়। এই নিয়ে বিবাদ লেগেই ছিল পরিবারে। দু-তিনদিন আগে এই নিয়ে বিবাদ চরমে ওঠে। বছর ৬৩-র মায়াদেবী রাজি ছিলেন না। বাপ্পা নিজেই তার স্ত্রী ডলিকে সঙ্গে নিয়ে মাকে হত্যা করে বলে অভিযোগ। এরপরই মায়ের নিথর দেহটি ফেলে দেয় বাড়িরই সেপটিক ট্যাংকে। এরপরই বাপ্পা তার তিন মেয়েকে রেখে আসে ফালাকাটাতেই অন্য পাড়ায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে।
তিন মেয়ের মধ্যে, এক মেয়েই তার বাবা-মায়ের কীর্তির কথা বলে ফেলে ওই আত্মীয়কে। এরপরই সেই আত্মীয়ই ঘাবড়ে গিয়ে তড়িঘড়ি খবর দেয় পুলিশকে। শনিবার সকালে পুলিশ গিয়ে বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী ডলিকে থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে পুলিশের জেরায় বাপ্পা স্বীকার করে মাকে সেই হত্যা করেছে। পুলিশকে সে জানায়, মা’কে হত্যা করে সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রেখেছেন। এরপর বেলা ১১টা নাগাদ দেহটি ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। তবে কীভাবে মায়াদেবীকে খুন করা হল তা জানা যায়নি। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, সম্পত্তি নিয়ে ঝামেলার জন্যই ছেলে ও বউ এর হাতে খুন হতে হল মা’কে। তবে কী ভাবে মায়া চট্টোপাধ্যায় খুন হলেন তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।