দুই শিশুসহ একই পরিবারের মোট ছয় সদস্যকে ঘুমন্ত অবস্থায় বাইরে থেকে দরজা আটকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার চেষ্টার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছড়াল ব্যাপক চাঞ্চল্য। ঘটনাটি ঘটেছে, জয়নগর থানার অন্তর্গত দক্ষিণ বারাসত গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ কালিকাপুর গ্রামে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় জয়নগর থানার পুলিশ। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা যায়নি।
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ কালিকাপুর গ্রামের বাসিন্দা তুষারকান্তি মণ্ডল তাঁর স্ত্রী, দুই শিশু সন্তান, ভাই পার্থসারথি মণ্ডল এবং ১ পিসিকে নিয়ে বসবাস করেন। মোট তিনটি ঘরে থাকে গোটা পরিবার। অন্যান্য দিনের মত বুধবার রাতেও তাঁরা খাওয়াদাওয়া সেরে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। ভোরবেলায় ঘুমন্ত অবস্থায় কটু গন্ধ নাকে আসতেই জেগে ওঠেন পার্থসারথি মণ্ডল। কৌতুহলবশত তিনি ঘর থেকে বেরোনোর চেষ্টা করতেই দেখেন যে দরজা বাইরে থেকে বন্ধ। পার্থসারথিবাবুর দাবি, বিপদের গন্ধ পেয়ে তিনি জোর করে দরজা খুলে বাইরে বেরোতেই দেখেন একজন বাড়ির সামনে থেকে পালিয়ে যাচ্ছে। দাদা তুষারকান্তি মণ্ডলের ঘরের সামনেও তখন সেখানে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। একইভাবে পিসির ঘরের দরজাও বাইরে থেকে বন্ধ করা রয়েছে। সেখানেও জ্বালানি তেল ঢালা হয়েছে। তিনটি ঘরেই দরজার ফাঁক দিয়ে ঢালা হয়েছিল পেট্রোল জাতীয় জ্বালানি। বিপদ বুঝে চিৎকার শুরু করেন পার্থসারথি। তাঁর চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায় পরিবারের বাকি সদস্যদের। কোনরকমে দরজা খুলে তাঁরা ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসেন। বাড়ির বিভিন্ন জায়গাতে তখনও বোতলে তেল রাখা ছিল বলে দাবি পরিবারের।
এই ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে যায় গোটা এলাকায়। বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন এলাকার বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি জয়নগর থানায় জানালে পুলিশ গিয়ে তদন্ত শুরু করে। পরিবারের সদস্যদের দাবি, তাঁদের প্রত্যেককে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি পরিবারের সদস্যরা। ঠিক কী কারণে এই ঘটনা, বা নেপথ্যে কে বা কারা জড়িত তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।