একাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির পোলবা থানা এলাকায়। ইতিমধ্যেই ৩ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আরও কয়েকজনের খোঁজে চলছে তল্লাশি। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে।
জানা গিয়েছে, একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী শনিবার বিকেলে টিউশনে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে যাওয়ার পরেও বাড়ি ফেরেনি সে। এরপরেই পরিবারের লোকজন মেয়েটির খোঁজ শুরু করেন। প্রথমেই ছাত্রীর মা-বাবা ফোনে গৃহ শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু গৃহ শিক্ষক জানান, এদিন তিনি পড়াননি। এরপরই ওই ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা মৌখিকভাবে বিষয়টি পোলবা থানায় জানান। রাতভর আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি খোঁজাখুঁজি করেও ছাত্রীর সন্ধান পাননি পরিবারের সদস্যরা।
এরপর, রবিবার ভোরে বিধ্বস্ত অবস্থায় বাড়ি ফেরে ওই ছাত্রী। ফিরেই কান্নায় ভেঙে পড়ে সে। জিজ্ঞাসাবাদে পরিবারের লোকজন জানতে পারেন, এলাকারই এক যুবক ও তার পাঁচ বন্ধু মিলে ছাত্রীর উপর যৌন নির্যাতন চালিয়েছে। ওই নাবালিকা জানায়, টিউশন বন্ধ জেনে বন্ধুদের সঙ্গে স্থানীয় একটি হাটে যায় সে। ফেরার পথে বন্ধুরা যে যার মতো বাড়ি চলে যায়। তারপর একাই বাড়ি ফিরছিল সে। অভিযোগ, সেই সময় বিজন রায় নামে এলাকার এক যুবক বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে তার পথ আটকায়। বিজন তাকে দীর্ঘদিন ধরেই উত্যক্ত করছিল বলে দাবি ওই ছাত্রীর। এদিন ফের একবার তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু সে রাজি না হলে, বিজনের বন্ধুরা তার হাত চেপে ধরে। এরপর তার মুখে গ্যাস জাতীয় কিছু একটা দিয়ে অচৈতন্য করে দেয় বিজনরা। রবিবার ভোররাতে জ্ঞান ফিরলে ছাত্রী দেখে যে সে একটি আমবাগানের মধ্যে পড়ে রয়েছে। তার জামা কাপড় ছেঁড়া। পেটে অসহ্য যন্ত্রণা। এরপর সেখান থেকে উঠে কোনওরকমে বাড়ি ফেরে সে।
মেয়ের মুখে বিষয়টি শুনে স্থানীয় দুই বিজেপি নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেন ওই ছাত্রীর বাবা-মা। এরপর ওই বিজেপি নেতারাই তাঁদের পোলবা থানায় নিয়ে যান। ছাত্রীর মা বিজন রায় ও তার পাঁচ বন্ধুর বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই ৩ জনকে গ্রেফতার করে পোলবা থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন - গরমে বাড়িতে দেদার চলছে এসি-কুলার? এই ৩ টিপস মানলেই কম আসবে ইলেকট্রিক বিল