ঘাটালে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীর বাড়িতে চুরির তদন্তে নেমে ধৃতের বায়োডেটা শুনে চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের। জানা গিয়েছে অভিযুক্তের নাম সৌমাল্য চৌধুরী। সে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে এমএ পাস করেছে। একইসঙ্গে সে খড়গপুরে দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ের একজন অস্থায়ী কর্মীও। সৌমাল্যর বাবা পূর্ত দফতরের এক অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। আগে তারা থাকতো আসানসোলে। সেখান থেকেই সৌমাল্যর বাবা বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করে রেলের অস্থায়ী কর্মী হিসাবে তার কাজের ব্যবস্থা করে দেন। কিন্তু সেই কাজ নাকি সৌমাল্যর ভাল লাগছিল না। আর তারপরেই সে আসানসোলে থাকার সময় চুরির প্রশিক্ষণ নেয় এলাকারই এক যুবকের কাছ থেকে। অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত ১৭০টি চুরি করেছে সৌমাল্য। এমনকী মাস কয়েক আগে হাওড়া আন্দুলের একটি ফ্ল্যাট থেকে ১০ লক্ষ টাকা সোনার গহনা চুরি করায় সৌমাল্যকে পাঁশকুড়া থেকে গ্রেফতার করে সাঁকরাইল থানার পুলিশ ।
পুলিশ সূত্রে খবর, সৌমাল্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, যে সে মানসিক রোগে আক্রান্ত। তার থেকেই সে চুরিকেই পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছে। সৌমাল্যকে ঘাটাল আদালতে তোলা হলে তাকে পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, দিনেরবেলা বিদ্যুৎ দফতরের ওই কর্মীর ভাড়াবাড়ির একাধিক চাবি ভেঙে লক্ষাধিক টাকার অলঙ্কার চুরি করার অভিযোগ উঠেছে সৌমাল্যর বিরুদ্ধে। ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হয় ঘাটাল থানায়। সিসি ক্যামেরার ছবি দেখে চুরির তদন্ত শুরু করে ঘাটাল থানার পুলিশ। তারপরেই গ্রেফতরা করা হয় সৌমাল্যকে।
ঘাটাল পৌরসভা ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কোন্নগর এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন মহাশ্বেতা দে নামে বিদ্যুৎ দফতরের ওই মহিলা কর্মী। অভিযোগ, বাড়িতে চাবি দিয়ে তিনি গিয়েছিলেন অফিসে। ফিরে দেখেন বাড়ির চাবি ভাঙা, এবং ভিতর থাকা লক্ষাধিক টাকার গয়না খোয়া গিয়েছে। মহাশ্বেতা দে-এর অভিযোগ, প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার গহনা চুরি গিয়েছে। এরপরেই ঘাটাল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। মহিলার অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তে নেমে সৌমাল্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ।