ক্যানিং-এর (Csnning) জীবনতলায় তৃণমূল কর্মীদের গুলি করার ঘটনায় উঠে এল চুঁচুড়ায় যুবক খুনের যোগ। মঙ্গলবারই তিন দুষ্কৃতীক ধরে ফেলেন গ্রামবাসীরা। তারপর তাদের তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে। ধৃত ৩ যুবকের নাম, বিশাল দাস (Vishal Das), রথীন সিং এবং বিপ্লব বিশ্বাস। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই চুঁচুড়ায় যুবক খুনের (Chinsurah Murder) যোগ মিলেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
তিন তৃণমূল কর্মী গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র কের সোমবার ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং-এর জীবনতলার দাহারানি গ্রামে। জানা গেছে, গ্রামে দুষ্কৃতীরা আশ্রয় নিয়েছে বলে এদিন সন্ধ্যায় খবর পান গ্রামবাসীরা। পাশাপাশি খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছান কুতুবুদ্দিন শেখ, মোসলেম আলি মোল্লা, ও আলমগীর গাজি নামে ৩ তৃণমূল কর্মী। এলাকার একটি বাড়িতে দুষ্কৃতীরা আশ্রয নিয়েছে বলে জানতে পারেন তাঁরা। দ্রুত গ্রামবাসীদের নিয়ে সেখানে গেলেও কাউকে পাওয়া যায়নি। এরপর স্থানীয়রা জানান, কাছের একটি মাছের ভেরির ঘরে আশ্রয় নিয়েছে ওই দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ, সকলে মিলে সেদিকে এগোতেই আচমকা তাঁদেরকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। তাতেই গুলিবিদ্ধ হন ওই তিন তৃণমূল কর্মী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। যদিও রাতভর হদিশ পাওয়া যায়নি দুষ্কৃতীদের। এরপর মঙ্গলবার সকালে সাধারণ যাত্রী সেজে ভ্যানে চেপে চম্পট দেওয়ার সময় ওই দুষ্কৃতীদের ঘরে ফেলেন গ্রামবাসীরা। ধৃতদের তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের সময় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। কিছুদিন আগে বিষ্ণু পাল নামে চুঁচুড়ার যে যুবকের দেহাংশ টুকরো টুকরো অবস্থায় বৈদ্যবাটি খাল থেকে উদ্ধার হয় সেই খুনে তাদের যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্তরা। পুলিশ সূত্রে আরও খবর, বিষ্ণুর মাথা কেটে মাটিতে পুঁতে দিয়েছে বলে স্বীকার করেছে রথীন সিং। সেই ঘটনার পর থেকেই তারা গা
ঢাকা দিয়েছিল বলে জানিয়েছে ধৃতরা। এমনকি এর আগেও বিভিন্ন অপরাধের পর এইসব অঞ্চলে তারা লুকিয়ে থাকতো বলে স্বীকার করেছে অভিযুক্তরা।
এদিকে এই ঘটনার পরেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ধৃতরা প্রত্যেকেই বিজেপি আশ্রিত সমাজ বিরোধী বলে অভিযোগ তৃণমূলের। যদিও তৃণমূলের সেই দাবি উড়িয়ে দিয়ে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং-এর পালটা দাবি,"ভাইপো বনাম পিসির লড়াই চলছে, নিজেদের ভাগ বাঁটোয়ারা নিয়েই এই লড়াই।" ভোট এলেই তৃণমূল এই ধরনের খুনোখুনি করে বলেও দাবি অর্জুন সিং-এর।