সুদ কারবারিদের মানসিক অত্যাচার ও মারধরের মাঝেই কলেজ পড়ুয়া এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দুর্গাপুর (Durgapur) শিল্পাঞ্চলে। মৃতের নাম রোহান দাস। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে মৃতের পরিবার। একই দাবি পাড়া প্রতিবেশীদেরও।
নিখোঁজ হয়ে যায় মৃতের দাদা
জানা গিয়েছে, রোহন দাসের দাদা রাহুল দাস ব্যবসার জন্য সুদ কারবারিদের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা ঋণ নেয়। কিন্তু সেই টাকা শোধ করতে পারেনি সে। যার জেরে পরিবারের ওপর মানসিক ভাবে অত্যাচার শুরু করে সুদ কারবারিরা। এমনকী গুন্ডা পাঠিয়ে পরিবারের সদস্যদের হুমকি ও মারধর করা হত বলেও অভিযোগ। আতঙ্কে ও আপমানে কয়েকদিন আগে হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যায় রাহুল। সেই বিষয়ে পুলিশে মিসিং ডায়েরিও করে তাঁর পরিবার।
এরপর মঙ্গলবার (Tuesday) বাড়িতে একাই ছিল রোহন। তার বাবা-মা আত্মীয়ের বাড়ি গিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় ফের গুন্ডা নিয়ে রোহনের বাড়িতে চড়াও হয় সুদ কারবারিরা। হেনস্থা ও মারধর করা হয় তাকে। পাড়া প্রতিবেশীদের হস্তক্ষেপে তখনকার মতো গুন্ডাদের নিয়ে ফিরে যায় সুদ কারবারিরা। ঘটনার কথা দুর্গাপুর থানায় জানায় রোহন। এরপর দুপুরে বাড়িতেই রোহনের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পাওয়া যায়। খবর দেওয়া হয় রোহনের বাবা-মাকে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে। এছাড়া একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
কড়া শাস্তির দাবি
এই ঘটনায় এলাকাবাসী ও পরিবারের দাবি, শহরের সুদ কারবারিদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিক পুলিস প্রশাসন। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানিয়েছে তাঁরা। মৃতের বাবা গৌতম দাসের অভিযোগ, যার সঙ্গে লেনদেন হয়েছে তাকে না পেয়ে ওই সুদ কারবারিরা অযথা তাঁদের ওপরে অত্যাচার চালাত। ওই সুদ কারবারিদের জন্যই মৃত্যুর পথ বেছে নিতে হল রোহনকে। দোষীদের কড়া শাস্তির জানিয়েছেন তিনি।