scorecardresearch
 
Advertisement

VIDEO: বৃহন্নলাকে জ্বলন্ত কয়লা দিয়ে পুড়িয়ে অত্যাচারের অভিযোগ

VIDEO: বৃহন্নলাকে জ্বলন্ত কয়লা দিয়ে পুড়িয়ে অত্যাচারের অভিযোগ

এক বৃহন্নলাকে অমানবিক অত্যাচারের অভিযোগ উঠল আরও কয়েকজন বৃহন্নলার বিরুদ্ধে। ঘটনায় আক্রান্তের নাম ঘণ্টা। তাঁকে যাদবপুর এলাকা থেকে তুলে নিয়ে আসা হয় বারুইপুরের মল্লিকপুরে। সেখানেই হাত পা বেঁধে তাঁর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে রত্না চৌধুরী ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। ঘণ্টার কপালে, দুই গালে ও সারা শরীরে জ্বলন্ত কয়লা দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়, পাশাপাশি লাঠি দিয়েও বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। এমনকি বুকের উপর দাঁড়িয়ে পা দিয়ে মারধোর করার অভিযোগও উঠেছে রত্না ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ পেয়ে বারুইপুর থানার পুলিশ অভিযুক্ত রত্না ও তার দুই সঙ্গী সোনিয়া মুখোপাধ্যায় ও রুবিনা শেখকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার রাতে। ধৃতদের শুক্রবার বারুইপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ঘণ্টা মূলত কলকাতা এলাকায় নিজের পেশায় জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু রত্না ও তার সঙ্গীদের দাবি ঘণ্টা মাঝে মধ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর, মল্লিকপুর সহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় এসেও সে কাজ করতো। এতে রত্নাদের পেশায় ক্ষতি হচ্ছিল। আর সেই কারণেই সপ্তাহ খানেক আগে আচমকাই যাদবপুর এলাকা থেকে ঘণ্টাকে তুলে নিয়ে আসে রত্নার দলবল। এরপর মল্লিকপুরে নিজেদের ডেরায় তাঁকে আটকে রেখে বেধড়ক মারধরের পাশাপাশি শারীরিক নির্যাতন করা হয়। এরপর তাঁকে রাস্তার পাশে ফেলে আসা হয়। এ বিষয়ে কাউকে কিছু জানালে প্রানে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। নিজের বাড়িতে ফিরে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পুলিশের কাছে সাহায্য চান ঘণ্টা। তাঁর উপর অত্যাচারের ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি বারুইপুর থানার নজরে আসতে রাতেই পুলিশ ঘটনার তদন্তে নামে। গ্রেফতার করা হয় রত্না সহ তিন বৃহন্নলাকে। গুরুতর জখম অবস্থায় ঘণ্টাকে উদ্ধার করে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

Advertisement