১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি, নাথুরাম গোডসের (Nathuram Godse) গুলিতে নিহত হয়েছিলেন মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী। মহাত্মা গান্ধীর (Mahatma Gandhi) মৃত্যু বার্ষিকীতে জেনে নেওয়া যাক তাঁর হত্যা সম্পর্কিত ১০টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
১. নয়া দিল্লির বিড়লা হাউস যা বর্তমানে গান্ধী স্মৃতি নামে পরিচিত সেখানেই ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি হত্যা করা হয় গান্ধীজিকে। সেই সময় তাঁর বয়স ছিল ৭৯ বছর।
২. রিপোর্ট অনুযায়ী বিকেল ৫টা ১২ মিনিটে গুলি করা হয় গান্ধীজিকে। তার কিছুক্ষণ পরেই মৃত্যু হয় জাতির জনকের।
৩. সেই সময় প্রার্থনা সভায় যাচ্ছিলেন গান্ধীজি। তখনই তাঁর পথ আটকান হিন্দু মহাসভার সদস্য নাথুরাম গোডসে।
৪. ৩৪ বছর বয়সী গোডসে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রে়ঞ্জ থেকে জাতির জনককে ৩ বার গুলি করেছিলেন। হত্যার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল বেরেট্টা এম ১৯৩৪ সেমি অটোমেটিক পিস্তল।
৫. শোনা যায়, গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর গান্ধীজিকে বিড়লা হাউজের ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
৬. ঘটনায় নাথুরাম গোডসে ও নারায়ণ আপটেকে প্রধান ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়াও গোডসের ভাই গোপাল সহ ৬ জনকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ।
৭. জানা যায়, গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর গান্ধীজির উচ্চারিত শেষ শব্দ ছিল 'হে রাম'।
৮. শোনা যায়, এর আগে আরও ৫ বার গান্ধীজিকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে প্রতিবারেই ব্যর্থ হয় ষড়যন্ত্রকারীরা।
৯. ১৯৩৪ সালে প্রথম বোমা মেরে হত্যার পরিকল্পনা করা হয় গান্ধীজিকে। ১৯৪৪ সালে ২ তাঁকে ছোরা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে ধরা পড়েছিলেন গোডসে। ১৯৪৮ সালে গোডসে ও তাঁর সহ ষড়যন্ত্রকারীদের আরও একটি পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছিল।
১০. নিহত হওয়ার ২ দিন আগে গান্ধীজি বলেছিলেন, "যদি আমাকে মানসিক ভারসাম্যহীন কোনও মানুষের গুলিতে মরতে হয়, তবে আমি তা হাসি মুখে করবো। ইশ্বর আমার মনে ও ঠোঁটে থাকবেন। যদি কিছু ঘটে, তোমরা একফোঁটাও চোখের জল ফেলবে না।"