আগামী ২২ জানুয়ারি ভগবান রাম দর্শন দেবেন। সোমবার এমনটাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'কিছুদিন পরেই, ২২ জানুয়ারি ভগবান রাম তাঁর মন্দিরে দর্শন দেবেন। আমি অত্যন্ত সৌভাগ্যবান যে অযোধ্যায় নির্মীয়মান রাম মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানের জন্য আমাকে আমন্ত্রণ জাননো হয়েছে। এটা আপনার সবার ও ভগবানের আশীর্বাদ।'
রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগে বিশেষ 'যম নিয়ম' পালন করতেও শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই বিষয়েও এদিন উল্লেখ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আপনারা সবাই আমাকে এত বড় দায়িত্ব দিয়েছেন, তাই আমিও প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগে ১১ দিনের বিশেষ অনুষ্ঠানও পালন করতে শুরু করেছে। শ্রীরামের ধ্যান স্মরণ করছি।'
#WATCH | Prime Minister Narendra Modi says "After a few days, on 22nd January, Lord Ram will also give us darshan in his grand temple and I am fortunate that I have been invited for the 'pran pratishtha' ceremony Ram temple in Ayodhya. I have also started an 11-day special… pic.twitter.com/iTjByPimrR
আরও পড়ুন
— ANI (@ANI) January 15, 2024
তিনি আরও বলেন, 'আপনারা সবাই তো জানেনই, যখনই প্রভু রামের স্মরণ করবেন, তখনই শবরী মাতার কথা মনে পড়াটা স্বাভাবিক। শ্রীরামের উপাখ্যান শবরী মাতা ছাড়া সম্ভবই নয়।'
এর আগেও প্রধানমন্ত্রী এই ১১ দিনের নিয়ম মেনে চলার বিষয়ে জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, 'এই আধ্যাত্মিক যাত্রায় আমি কিছু তপস্বী এবং মহাপুরুষদের কাছ থেকে পরামর্শ পেয়েছি। তাঁদের পরামর্শ অনুসারে আমি আজ থেকে ১১ দিনের একটি বিশেষ আচার শুরু করছি। এই পবিত্র কাজের আগে আমি ভগবানের চরণে প্রার্থনা করছি। আমি ঋষি ও তপস্বীদের উপদেশ স্মরণ করে চলছি। আমি ঈশ্বররূপী মানুষের কাছে প্রার্থনা করি, তাঁরা যেন আমাকে আশীর্বাদ করেন, যাতে আমার মনে, কথায় ও কাজে কোনওরকম খামতি না থেকে যায়।'
'যম নিয়ম' কী?
এর সঙ্গে যমরাজের কোনও যোগ নেই। ধর্মীয় শাস্ত্র এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানের বিশেষজ্ঞ পণ্ডিত রাজকুমার মিশ্রের কথায়, যে কোনও যজ্ঞ বা অনুষ্ঠানের দীক্ষা নেওয়ার আগে শারীরিক, মানসিক এবং আধ্যাত্মিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত করতে হয়। আর তার জন্যই এই যম নিয়ম মেনে চলার প্রথা। অর্থাৎ, সহজ ভাষায়, এই যম শব্দটি সংযম থেকে এসেছে। পবিত্র অনুষ্ঠানের আগে নিজেকে শুদ্ধ রাখার প্রক্রিয়া এটি।