জামিন পেলেন আম আদমি পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং। সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চ তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। দিল্লির আফগারি দুর্নীতি মামলায় গত ৬ মাস ধরে তিনি জেলে ছিলেন। মঙ্গলবার আদালত জানায়, এখন থেকে সঞ্জয় সিং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবেন।
সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি পিবি ভারালের বেঞ্চ এই মামলার শুনানি করেন। বেঞ্চের তরফে ইডিকে জিজ্ঞাসা জিজ্ঞাসা করা হয়, কেন এখনও সঞ্জয় সিংকে জেলা রাখার প্রয়োজন? তখন সঞ্জয় সিংয়ের আইনজীবী আদালতকে জানান, অর্থ পাচারের বিষয়টি নিশ্চিত করা যায়নি। তারপরও ৬ মাস ধরে জেলে রয়েছেন সঞ্জয় সিং।
মানি লন্ডারিং মামলায় সঞ্জয় সিংয়ের গ্রেপ্তার ও হেফাজতকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলাটি ওঠে। সেই শুনানিতে সওয়াল জবাবের পর সুপ্রিম কোর্ট সঞ্জয় সিংয়ের জামিন মঞ্জুর করে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, সঞ্জয় সিংয়ের কাছ থেকে কোনও টাকা উদ্ধার হয়নি। তাঁর বিরুদ্ধে ২ কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগেরও তদন্ত করা যেতে পারে।
২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে সঞ্জয় সিংকে গ্রেফতার করে ইডি। হাইকোর্টে আপ সাংসদের জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেছিল ইডি। সেই সময় সঞ্জয় সিংয়ের যুক্তি ছিল তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে হেফাজতে রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ নেই। তারপরও তাঁকে গ্রেফতার করে রাখা হয়েছে। তদন্তকারী সংস্থা হাইকোর্টে জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেছিল এবং দাবি করেছিল যে সঞ্জয় সিং অফগারি দুর্নীতিতে সঞ্জয় সিং জড়িত।
গত মাসে এই আফগারি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এর আগে আবগারি মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন আপ নেতা সত্যেন্দ্র সিং, দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। আম আদমি পার্টির মোট চারজন বড় মাপের নেতার গ্রেফতারিতে হইচই পড়ে গেছে। তারই মধ্যে মঙ্গলবার শীর্ষ আদালত জামিন মঞ্জুর করল সঞ্জয় সিংয়ের। তবে ইডি এই জামিনের কোনও বিরোধিতা করেনি।