ত্রিপুরায় তৃণমূলের (Tripura TMC) ওপরে হামলার অভিযোগ। আজ ফের ত্রিপুরায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। ইতিমধ্যেই ত্রিপুরায় পৌঁছে গিয়েছেন তিনি। শনিবার ত্রিপুরায় গিয়েছিলেন তৃণমূলের যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য, যুব নেত্রী জয়া দত্ত সহ আরও বেশকয়েকজন। অভিযোগ তাঁদের হামলা চালান হয়। এরপরেই সেই হামলাকে কেন্দ্র করে সরগরম হয়ে ওঠে বাংলা ও ত্রিপুরার রাজনীতি।
এরমাঝেই আজ ত্রিপুরায় যাবেন বলে ট্যুইটারে ঘোষণা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। ত্রিপুরায় যে সমস্ত তৃণমূল কর্মীদের ওপরে আক্রমণ হয়েছে তাঁদের পাশে দাঁড়াতেই তিনি সেখানে যাবেন বলে জানিয়েছেন অভিষেক। একইসঙ্গে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের উদ্দেশ্যে অভিষেকের চ্যালেঞ্জ, শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবেন তিনি, ক্ষমতা থাকলে আটকে তাঁকে দেখান। এছাড়াও আজ ত্রিপুরায় থাকছেন ব্রাত্য বসু, কুণাল ঘোষ ও দোলা সেন।
প্রসঙ্গত তৃতীয়বার রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর এখন জাতীয় রাজনীতির দিকে বিশেষভাবে নজর দিয়েছে তৃণমূল। সেই অনুযায়ী একদিকে যেমন ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে জাতীয় স্তরে বিজেপি (BJP) বিরোধী ফ্রন্ট গঠনের ডাক দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী, তেমনই পরবর্তী লক্ষ্য হিসেবে ত্রিপুরাকে পাখির চোখ করেছে ঘাসফুল শিবির। সেই মতো বাংলার প্রতিবেশী এই রাজ্যে সংগঠন মজবুত করার ওপরে জোড় দেওয়া হয়েছে।
সেই কাজেই দিন কয়েক আগে ত্রিপুরায় গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় তাঁর কনভয়ে হামলা চালান হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের দাবি, সেই হামলার নেপথ্যে ছিল বিজেপি। আর এবার ফের একবার তৃণমূল নেতানেত্রীদের ওপরে হামলার অভিযোগ। অন্যদিকে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে ইতিমধ্যেই ত্রিপুরায় গ্রেফতার করা হয়েছে ১১জন তৃণমূল নেতানেত্রীকে। তাঁদের আজই পেশ করা হবে আদালতে।