মণিপুরে শান্তি প্রতিষ্ঠাকেই শীর্ষ অগ্রাধিকার দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। একইসঙ্গে যে বা যারা শান্তিভঙ্গের চেষ্টা করবে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপেরও নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। মঙ্গলবার মণিপুর পুলিশ, কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী (CAPF) এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্তাদের সঙ্গে এক পর্যালোচনা বৈঠক করেন অমিত শাহ। বৈঠকে পেট্রোল, এলপিজি গ্যাস, চাল এবং অন্যান্য খাদ্য পণ্যের মতো প্রয়োজনীয় জিনিসগুলি দাম কমানোর জন্য প্রচুর পরিমাণে যোগান নিশ্চিত করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই বিষয়ে একটি ট্যুইটও করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ট্যুইটে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, "ইম্ফলে মণিপুর পুলিশ, সিএপিএফ এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি বৈঠকে মণিপুরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়েছে। মণিপুরের শান্তি ও সমৃদ্ধি আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার, শান্তি বিঘ্নিত করে এমন কোনও কার্যকলাপ কঠোরভাবে মোকাবিলা করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে"। এছাড়া এদিন কুকি নাগরিক সমাজের নেতাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য চুরাচাঁদপুরেও যান অমিত শাহ। অভাব অভিযোগ শোনার জন্য গির্জার নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাতের পাশাপাশি কুকি সম্প্রদায়ের বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গেও কথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এদিকে বর্ধিত হিংসার প্রেক্ষিতে, জনগণকে রাজ্যে শান্তি বজায় রাখা ও স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার আবেদন জানিয়েছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। ইম্ফলে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, মণিপুরে ৩৮টি এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং যে কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সেই সব অঞ্চলে কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া ইন্টারনেট পরিষেবার ওপর ৩১ মে পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মণিপুর সরকার।
প্রসঙ্গত, গত ৩ মে তফসিলি উপজাতি (ST) মর্যাদার দাবির প্রতিবাদে পার্বত্য জেলাগুলিতে 'উপজাতি সংহতি মার্চ' সংগঠিত হওয়ার পরে প্রথম হিংসা শুরু হয়েছিল। জাতিগত সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ৭৫ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণ গিয়েছে। ঘটনার জেরে লাগাতার অশান্ত উত্তর পূর্বের এই রাজ্য।
আরও পড়ুন - ১২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার 'কালীঘাটের কাকু' সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র