scorecardresearch
 

পুলিশের গুলি ও এক ফটোগ্রাফার, ঠিক কী ঘটেছে অসমে?

মাঠের মধ্যে পড়ে রয়েছে দেহ। আর সেই দেহের উপরে লাফাচ্ছে এক ব্যক্তি। কখন এসে ঘুসিও মারছে। হাতে ক্যামেরা। বৃহস্পতিবার দিনভর অসমের এই ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়াতে। দারং জেলায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছিল অসম পুলিশ। তখন স্থানীয়দের সঙ্গে বচসা বাধে।

Advertisement
গ্রেফতার এই ফোটোগ্রাফার। ছবি- আজ তক গ্রেফতার এই ফোটোগ্রাফার। ছবি- আজ তক
হাইলাইটস
  • পুলিশের গুলি ও এক ফটোগ্রাফার
  • ঠিক কী ঘটেছে অসমে?
  • জানুন বিস্তারিত তথ্য

মাঠের মধ্যে পড়ে রয়েছে দেহ। আর সেই দেহের উপরে লাফাচ্ছে এক ব্যক্তি। কখন এসে ঘুসিও মারছে। হাতে ক্যামেরা। বৃহস্পতিবার দিনভর অসমের এই ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়াতে। দারং জেলায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছিল অসম পুলিশ। তখন স্থানীয়দের সঙ্গে বচসা বাধে। পুলিশের দাবি, সেই সময়ে তাঁদের ঘেরাও করে হামলা করা হয়। বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী আহত হন। তখন বাধ্য হয়ে পাল্টা গুলি চালালে ২ ব্যক্তির মৃত্যু হয়। সেই সময়ে একটি মৃতদেহের উপর একাধিকবার লাফাতে দেখা যায় এক ফোটোগ্রাফারকে। এমনকি দেহ বিকৃত করারও অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। বিতর্ক সামনে আসতেই ওই ফোটোগ্রাফারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

জানা গিয়েছে, ওই ফোটোগ্রাফারের নাম বিজয় শঙ্কর বানিয়া। দারংয়ে জেলা কমিশনারের কার্যালয়ে কর্মরত সে। ঘটনার পরে অসমের কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি ভূপেন কুমার বোরা বলেন, "হিমন্ত বিশ্বশর্মা অসমের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে প্রায় প্রতিটি কাজে পুলিশকে অনেক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে এবং পুলিশও প্রতিটি পরিস্থিতি মোকাবেলায় গুলির আশ্রয় নিচ্ছে। যা নাগরিকদের জন্য চিন্তার বিষয়।" তিনি আরও বলেন, "পুলিশ চাইলে লোকজনকে ধরে নিয়ে যেতে পারত। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন যে কাউকে গুলি করতে হবে। দারংয়ের এসপি মুখ্যমন্ত্রীর ভাই। বড় ভাই সিএম, ছোট ভাই এসপি, তাই যাকে ইচ্ছা গুলি করবেন। আমরা এটা হতে দেব না।"

ঘটনা সামনে আসার পরেই অবস্থান স্পষ্ট করেছে অসমের সরকার। সরকারের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, ৩ হাজার পরিবার ২৫ হাজার একর জমি দখল করে রেখেছে। সেখানে একটি পাঁচ হাজার বছরের পুরনো মন্দির ছিল। সেটাও জবরদখল করার চেষ্টা হয়েছে।  সরকারের মতে, দুই একর পর্যন্ত জমি সেই ব্যক্তিদের দেওয়া যেতে পারে যাদের নিজস্ব কোনো জমি নেই। কিন্তু স্থানীয় জনগণ সেই দাবিতে সন্তুষ্ট ছিল না। সরকার আরও জানায় যে এর আগে মানুষকে বেশ শান্তিপূর্ণভাবে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার জনতা সহিংস হয়ে ওঠে এবং এই বিতর্ক দেখা দেয়।

Advertisement

Advertisement