scorecardresearch
 

'মিনিটে হয়নি কোনও চুক্তি, আমরাও রামকে মানি', আসল গল্প জানালেন সুলতান আনসারি

উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যাতে নির্মিত হচ্ছে রামমন্দির। আর সেখানেই এবার উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগ। এই ঘটনা রাজ্যের গণ্ডি পেরিয়ে দেশেও তোলপাড় শুরু করে দিয়েছে। বিরোধী দলগুলি এই নিয়ে রামমন্দির ট্রাস্ট ও সরকারকে প্রশ্নে জর্জরিত করছে। আর এই পুরো পর্বে বারবার সামনে আসছে যার নাম তিনি হলেন প্রপার্টি ডিলার সুলতান আনসারি।

Advertisement
রাম মন্দির রাম মন্দির
হাইলাইটস
  • রাম মন্দির নিয়ে জমি দুর্নীতির অভিযোগ
  • গোটা দেশ জুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া
  • জমি ডিলের আসল কাহিনি জানালেন প্রপার্টি ডিলার স্বয়ং

উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যাতে নির্মিত হচ্ছে রামমন্দির। আর সেখানেই এবার উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগ। এই ঘটনা রাজ্যের গণ্ডি পেরিয়ে দেশেও তোলপাড় শুরু করে দিয়েছে। বিরোধী দলগুলি এই নিয়ে রামমন্দির ট্রাস্ট ও সরকারকে প্রশ্নে জর্জরিত করছে। আর এই পুরো পর্বে বারবার সামনে আসছে যার নাম তিনি হলেন প্রপার্টি ডিলার সুলতান আনসারি। 

রবিবার সাংবাদিক সম্মেলনে আপ ও সমাজবাদী পার্টির পক্ষ থেকে  দাবি করা হয়েছে, ২৪৩, ২৪৪ ও ২৪৬ নম্বর দিয়ে রেজিস্টার হওয়া জমির দাম ছিল ৫.৮৬ কোটি। কুসুম পাঠক ও হরিশ পাঠকের থেকে সুলতান আনসারি ও রবি মোহন তিওয়ারি ২ কোটি টাকায় জমিটি কিনেছিলেন। যখন জমিটি কেনা হয়েছিল, তখন সেখানে সাক্ষ্য হিসেবে হাজির ছিলেন অনিল মিশ্র ও ঋষিকেশ উপাধ্যায়। অনিল মিশ্র রাম জন্মভূমি ট্রাস্টের সদস্য। আর ঋষিকেশ উপাধ্যায় অযোধ্যার মেয়র। জমিটি কেনা হয়েছিল সন্ধে ৭ টা ১০ মিনিটে। আর যার কয়েক মিনিটের মধ্যে আনসারি ও তিওয়ারির থেকে ১৮.৮ কোটি টাকায় জমিটি কেনে রাম জন্মভূমি ট্রাস্ট। যে জন্য ১৭ কোটি টাকা আরটিজিএস করা হয়। জমি বিক্রিতে  সময়ের ব্যবধান মাত্র ১০ মিনিট। এই পুরো বিতর্কটি নিয়ে সুলতান আনসারি এবার মুখ খুললেন  আজতকের সামনে।

জমির  বিবাদের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সুলতান আনসারি বলেন যে ২০১১ সালের ৪ মার্চ  প্রথম চুক্তি হয়েছিল, তখন দাম ছিল এক কোটি টাকা। এছাড়াও, উপস্থআরনার জন্য আরও ১০ লাখ টাকা রেট রাখা হয়েছিল। সুলতানের মতে এটি ২০১৪ সালে পুনর্নবীকরণ করা হয়েছিল, তারপরে ২০১৯ সালে যখন তাঁর নামে চুক্তি হয়েছিল, তখন এই হার দুই কোটিতে পৌঁছেছিল।

'কয়েক মিনিটে হয়নি চুক্তি'
শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট সম্পর্কে সুলতান আনসারি বলেন যে মার্চ মাসে ট্রাস্ট আমাদের সাথে যোগাযোগ করেছিল এবং জমি নিয়ে অনেক দফায় আলোচনা হয়েছিল। সুলতান আনসারির দাবি,  তিনি চম্পত রাই এবং ট্রাস্টের অন্যান্য সদস্যদের সাথে কথা বলেছিলেন এবং শেষ পর্যন্ত চুক্তিটি ১৮.৫ কোটি টাকায় নিষ্পত্তি হয়। ট্রামস্টের তরফে কোনও কিছু বলা হয়নি, কারণ দাম বেড়ে গিয়েছিল।

Advertisement

 মাত্র দশ মিনিটে কোটি টাকার মূল্য বৃদ্ধির অভিযোগে প্রপার্টি  ডিলার সুলতান আনসারির জবাব,  কয়েক মিনিটের মধ্যে কোনও চুক্তি হয়নি, এগুলি সবই আজেবাজে কথা। আমরা আগে থেকে আলোচনা করে  জমি বিক্রি করছি, এটি কেবল কয়েক মিনিটের ব্যাপার নয়।

'আমরাও রামকে মানি' 
সুলতান আনসারি জানান, ট্রাস্ট এগ্রিমেন্ট ধারকের খাতায় অর্থ স্থানান্তরের ব্যাপারে রাজি ছিল না।  চুক্তি সম্পর্কে সুলতান আনসারির বর্কব্য, আমাদের আলোচনা চূড়ান্ত হয়েছিল,  তারপরে স্টাম্পটি আগের হোক বা পরে তা বিবেচনাধীন নয়।

সুলতান আনসারি ফের দাবি করেছেন, কয়েক মিনিটের মধ্যে কোনও চুক্তি করা হয়নি , প্রত্যেকের আগে থেকেই যোগাযোগে ছিল। ট্রাস্ট যে জমি নিয়েছে, তা কেবল কম অর্থের জন্য নেওয়া হয়েছে। সুলতান আনসারির মতে, তখন জমির দাম ছিল প্রায় ২৪.৫  কোটি টাকা। কারণ আমরা রাম মন্দিরের পাশে থাকি, রামের প্রতি বিশ্বাস করি, তাই অনুদান দিয়ে চলেছি। সুতরাং যখন এটি ধর্মের দিকে আসে, আমরা গঙ্গা-যমুনা তেহজিবের অধীনে জমিটি কম অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করি।

 লক্ষণীয় যে সমাজবাদী পার্টি, কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি বারবার অভিযোগ করেছে যে ট্রাস্ট জমি কেনার ক্ষেত্রে  কেলেঙ্কারী করেছে এবং ১৬.৫ কোটি টাকা লাভ হয়েছে। তবে, শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট সকল অভিযোগকে রাজনৈতিক  বলে অভিহিত করে  এর ব্যাখ্যাও দিয়েছে।

এদিকে এই কেলেঙ্কারিতে ট্রাস্ট যে পরিামণ অর্থ অনুদান হিসেবে পেয়েছে তা অডিট করার অনুরোধ করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্চ। বিরোধীদের তোলা অভিযোগের জবাবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা তথা রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্রের সম্পাদত চম্পত তাই দাবি করেছেন, যাবতীয় টাকার লেনদেন স্বচ্ছতার সঙ্গে করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী সকলের প্রাপ্য টাকা সরাসরি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। জমি ক্রয় সংক্রান্ত রিপোর্টও ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার, বিজেপি এবং আরএসএস-এর কাছে পাঠিয়েছে ট্রাস্ট। অযোধ্যার জমি চুক্তির ব্যাখাও দিয়েছে তারা। পুরোটাই ট্রাস্টকে বদনাম করতে বিজেপি বিরোধীদের চক্রান্ত বলে দাবি করা হচ্ছে। 
 

Advertisement