গেরুয়া-সঙ্গ ছেড়ে লণ্ঠন ধরতে চলেছেন নীতীশ কুমার। রাজ্যপাল ফাগু চৌহানকে ইস্তফা দেওয়ার পর সোজা গেলেন লালুপত্নী রাবড়ি দেবীর আবাসে। সেখানেই তাঁকে পরিষদীয় নেতা হিসেবে নির্বাচন করা হয়। অর্থাৎ মহাজোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসছেন নীতীশই।
রাবড়ির আবাসেই বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক করেন নীতীশ। ওই বৈঠকে তাঁর বার্তা,'আসুন,সবাই মিলে নতুন করে শুরু করি। যা হয়েছে ভুলে যান। অতীত ভুলেই এগিয়ে যেতে হবে। বিহারের জন্য একজোট হয়ে কাজ করব।'
ঘটনা হল, এনডিএ জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর নীতীশের মধ্যে অস্বস্তি থাকা স্বাভাবিক। ২০১৭ সালে আরজেডি-কংগ্রেসের সঙ্গে মহাজোট ভেঙে বিজেপির হাত ধরেছিলেন। সেই তিনিই এবার মোদী-শাহের দল ছেড়ে মহাজোটে। অস্বস্তি ঢাকতে এ দিন নীতীশ জানিয়ে দেন,ওই সিদ্ধান্তের জন্য তাঁর আফসোস যায়নি।
বিহারের পাটিগণিত
বিহারে আরও এক বার লালুপ্রসাদের আরজেডির হাত ধরছেন নীতীশ। বিজেপি ও জেডিইউ জোটে নীতীশের দলের আসন কম ছিল। জেডিইউয়ের বিধায়ক সংখ্যা এখন ৪৫। ৭৭ আসন পেয়েছিল বিজেপি। আরজেডির বিধায়ক সংখ্যা ৭৯। নীতীশকে সমর্থন করার কথা জানিয়েছে কংগ্রেস। তাদের বিধায়ক সংখ্যা ১৯। সিপিআইএমএলের ১২ জন বিধায়কও নীতীশের পাশে। সেই সঙ্গে মহাজোটের সমর্থনে রয়েছেন সিপিআই এবং সিপিএমের বিধায়ক চার বিধায়ক। নীতীশকে সমর্থনের কথা জানিয়েছেন এক জন নির্দল বিধায়কও। ফলে সহজেই সরকার গড়ার ম্যাজিক সংখ্যা ১২২ পেরিয়ে যাচ্ছে মহাজোট।
ঘটনা হল, বিহারে গত কয়েক বছর ধরে পিছিয়ে পড়ছে জেজিইউ। ২০২০ সালে বিজেপির এবং আরজেডির থেকে কম আসন পেয়েছিল তারা।
এ দিন রাজভবনে ইস্তফা দেওয়ার পর নীতীশ কুমার বলেন,'দলের সব সাংসদ এবং বিধায়করা এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিলেন। সেজন্য এই সিদ্ধান্ত।'
আরও পড়ুন- অ্যাক্রয়েড ফর্মুলায় বছর বছর বাড়বে সরকারি কর্মীদের বেতন?