২০২৩-এ ত্রিপুরা (Tripura) দখলের লক্ষ্যে এখন থেকেই মাঠে নেমেছে তৃণমূল। বাংলার প্রতিবেশী এই রাজ্যে যাতায়াতও বেড়েছে তৃণমূল নেতৃত্বের। আর তৃণমূলের কর্মসূচি যত বেড়েছে ততই বেড়েছে হামলা। সমস্ত ক্ষেত্রেই বিজেপির দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে তৃণমূল। যদিও বারেবারই সেই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। আর এর মাঝেই বিভিন্নমহল থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, 'তবে কি পশ্চিমবঙ্গের বদলা ত্রিপুরায় নিচ্ছে বিজেপি?'
কারণ একটা কথা মনে রাখতে হবে পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনের পর বারেবারেই তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি (BJP)। শাসকদলের হামলায় তাদের বেশকিছু কর্মীর মৃত্যু হয়েছে এবং মহিলা কর্মীদের ওপরে লাগাতার নির্যাতন চালান হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে এসেছে গেরুয়া শিবির। আর সেখান থেকেই কেউ কেউ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন, তবে কি এবার সেই হামলারই পালটা দিচ্ছে বিজেপি?
কী বলছে তৃণমূল-বিজেপি?
তবে কোনও কোনওমহল থেকে এই প্রশ্ন উঠলেও যাদের ওপরে হামলা হয়েছে সেই তৃণমূল কিন্তু এমনটা মনে করছে না। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় (Sougata Roy) বলেন, 'ত্রিপুরাকে ত্রিপুরার মতো করে দেখা হচ্ছে। হামলা হচ্ছে, প্রতিরোধ করা হবে। বদলা নিচ্ছে কি না ভেবে লাভ কী?' এককথায় এই ধরনের হামলাকে তৃণমূল বদলা হিসেবে দেখছে না বলেই জানিয়েদেন সৌগতবাবু। অন্যদিকে এই বদলার তত্ত্ব খারিজ করে দেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুও (Sayantan Basu)। বিজেপি যে কোনওরকম হিংসারই বিরোধিতা করে বলে সাফ জানিয়েদেন তিনি।
কবে থেকে হামলার সূত্রপাত?
প্রসঙ্গত, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) কনভয়ে হামলার মধ্যে আক্রমণের সূত্রপাত। তারপর থেকে লাগাতার ঘটে চলেছে একই ধরনের ঘটনা। দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা, জয়া দত্তদের পর হামলা হয় অপরূপা পোদ্দার ও দোলা সেনের গাড়িতেও। যদিও তৃণমূল শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত ত্রিপুরায় বিজেপর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে বলে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেক্ষেত্রে এখন দেখার আগামিদিনে কোনদিকে মোড় নেয় ত্রিপুরার রাজনীতি।
আরও পড়ুন - STF-র বড় সাফল্য, মালদায় ৫০ কোটি টাকার হেরোইন সহ গ্রেফতার